১৩তম জাতীয় আয়কর দিবস আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (৩০ নভেম্বর): ‘স্বচ্ছ ও আধুনিক করসেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ’ এই স্লোগানে দেশে উদযাপিত হচ্ছে জাতীয় আয়কর দিবস-২০২০। আয়কর বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর সারা দেশে এ দিবস উদযাপন করছে।
২০০৮ সাল থেকে দেশে উদযাপিত হচ্ছে আয়কর দিবস। এর আগে প্রতি বছর আয়কর দিবস উদযাপিত হতো ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর। এদিন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ারও শেষ দিন।
নির্ধারিত সময়ের পরে দুই শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ গুণতে হবে করদাতাদের। তবে বিলম্ব সুদ পরিশোধ করে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যে কোনো করদাতা ইচ্ছে করলে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার বরাবর আবেদন করা হলে তিনি আয়করদাতাকে দুই মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন।
আয়কর দিবস উপলক্ষে ইতোপূর্বে আয়কর দিবসের আলোচনা ও আয়কর দিবসের র্যালি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারে আলোচনা অনুষ্ঠান ও র্যালি অনুষ্ঠিত হবে না। অতীতের মতো ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আয়কর প্রদানকে সামাজিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এবং করদাতাগণকে স্বপ্রণোদিতভাবে কর প্রদানে আগ্রহী ও অনুপ্রাণিত করতে প্রতি বছর এনবিআর ৩টি ক্যাটাগরিতে ১৪১ জন করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড প্রদানের পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি কর প্রদানের ভিত্তিতে ৫১৮ জন করদাতাকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে থাকে।
করদাতাদের প্রত্যাশা পূরণে এবার এক ছাদের নিচে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও প্রতিটি কর অঞ্চলে মেলা পরিবেশে তৈরি করে এনবিআর। এবারে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টি আয়কর রিটার্ন দাখিল করে করদাতারা। যার মাধ্যমে কর আদায় হয়েছে ২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা।
বর্তমানে দেশে ৪৬ লাখ কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। তাদের মধ্যে ২২ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন দেন।