ভূটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষর রোববার
১১ দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চলছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
|| বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: পিআইডি
ঢাকা (৫ ডিসেম্বর): বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামী দিনে বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আরও ১১টি দেশের সাথে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। ফলে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বর্তমানে প্রাপ্ত বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য সুবিধা লোপ পাবে।
শনিবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভূটানের সাথে বাংলাদেশের পিটিএ স্বাক্ষর উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং তিনি এসব কথা বলেন। রোববার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ও নির্দেশনার ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিশ^বাণিজ্যে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিও কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি। চুক্তিটি স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশ ভুটানের বাজারে মোট ১০০টি পণ্যে এবং ভুটান বাংলাদেশে মোট ৩৪টি পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে আরও পণ্য দু’দেশের তালিকায় সংযুক্ত করা হবে। এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক পিটিএ/এফটিএ স্বাক্ষরের যাত্রা শুরু হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। স্বীকৃতিদানের পর থেকে সুদীর্ঘ ৫০বছর যাবত দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য এদিন ভূটানের সাথে পিটিএ স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এ বছর মুজিব শতবর্ষ এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, রোববার সকালে ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী Dr. Lotay Tshering ভার্চুয়াল সংযোগের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবেন। পিটিএ-তে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের পক্ষে ভুটানের ইকোনমিক এফেয়ার্স মিনিস্টার স্বাক্ষর করবেন। ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে মোট বাণিজ্য ছিল ১২.৭৭ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ০.৬১ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে ও একই সময়ে আমদানি করে ১২.১৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দু’দেশের বাণিজ্য ৫৭.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। এ সময়ে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ৭.৫৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে ভুটান থেকে আমদানি হয় ৪৯.৯০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য।