বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেল সেরা পাবলিক প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (১২ ডিসেম্বর): সেরা পাবলিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা ও পুরস্কার পেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ই-কমার্সে বিশেষ অবদান রাখায় এবার ৭ম ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০ এর সমাপণী অনুষ্ঠানে এ পুরষ্কার দেয়া হয়। শুক্রবার বাংলাদেশ ফ্লিম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস হলরুমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ সম্মাননা ও পুরস্কার গ্রহণ করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। সমাপনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব এবং বেসিস-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির।
চলমান বিশ্বপরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘ঝড়পরধষষু উরংঃধহপবফ, উরমরঃধষষু ঈড়হহবপঃবফ’ -এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ৩ দিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক উৎসব এর ৭ম আসর 'ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২০' অনুষ্ঠিত হয়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ই-কমার্সে দক্ষ জনবল বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের “ই-বাণিজ্য করবো নিজের ব্যবসা গড়বো” প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপি ই-কমার্স বিষয়ক প্রশিক্ষণ পরিচালিত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ই-কমার্সে দক্ষ জনবল আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখবে। ডিজিটাল কমার্সকে শক্তিশালী করার জন্য তৈরীকৃত “বাংলাদেশ ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০১৮” এর আওতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহকে নীতিসহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ই-কমার্সের গুরুত্ব অপরিসীম। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সাধারন মানুষের নিকট ঔষধ ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পৌছে দেয়ার দায়িত্ব পালন করছে ই-কমার্স। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রত্যক্ষ উদ্যোগে ই-কমার্স এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এ বছর আম মৌসুমে অন-লাইন আম মেলার আয়োজন করা হয়েছিল এবং এই কর্মসূচি বহুল প্রশংসিত হয়েছিল। বর্তমানে ই-কমার্সের মাধ্যমে ভোক্তাসাধারণের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পেয়াজ বিক্রয় কার্যক্রম সফলভাবে চলমান রয়েছে। ভবিষ্যতে এর পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে।