১১২ দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্লাস শুরু হয়েছে। ১১২ দিন পর আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন সব বিভাগের ক্লাস শুরু না হলেও কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, আইন অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদের বিভাগসহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের বেশির ভাগই ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছে।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি মিলিয়ে গত ২ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। তবে এ সময়ে বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুলাই থেকে ক্লাস চালুর কথা থাকলেও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অচল হয়ে পড়ে। সব মিলিয়ে সাড়ে তিন মাস বা ১১২ দিন বন্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে। ক্লাস শুরুর আগে গতকাল শনিবার ১০টি ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়। অন্যদিকে ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান তুলে ধরেন। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং বিভিন্ন হল সংসদ নির্বাচনের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
ক্লাস শুরুর ব্যাপারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমাদের ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। উপাচার্যসহ আমরা বেশ কয়েকটি অনুষদে ঘুরেও দেখলাম ক্লাস কার্যক্রম। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। খুব দ্রুতই আমাদের নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাসও আমরা শুরু করে দেবো।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ৭ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কোটা আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর হল ও অফিস কার্যক্রম শুরু হলেও ক্লাস শুরু করা যায়নি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল পদত্যাগ করেন। ২৭ আগস্ট নতুন উপাচার্য হন অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। ১৩ সেপ্টেম্বর জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্লাস শুরুর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়।