রাজধানীর সাত স্থানে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান, যান চলাচল বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ
ঢাকা(২৪ ফেব্রুয়ারি) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের চলমান পরীক্ষাসমূহ নেওয়ার দাবিতে রাজধানী ঢাকার সাতটি মূল পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে নীলক্ষেতে অবস্থান নিয়ে সেখানে সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে নিউমার্কেট থেকে আজিমপুরগামী সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ঢাকা শহরের সাতটি মূল পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা সদরঘাটে অবস্থান নিয়েছে। বেগম বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থীরা বকশিবাজার ঢাকা মেডিকেল কলেজ মোড়ে, ইডেন ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত ও আজিমপুওে, বাংলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে মিরপুর টেকনিক্যাল ও গুলশানে অবস্থান নেবেন।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের এই আন্দোলন সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও নয়। আমাদের আন্দোলন আমাদের পরীক্ষা আদায়ের অধিকারের। আমাদের একদফা দাবি হলো- আমাদের পরীক্ষা নিতে হবে। কেননা আমাদের হল বন্ধের মধ্যেও আমরা গ্রাম থেকে এসে ঢাকায় এসেছি। কিন্তু আমাদের পরীক্ষা স্থগিত করা এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের চরম ভুল সিদ্ধান্ত।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দেশের সব মার্কেট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। আমরা এমনিতেই সেশন জটে আছি। পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এতে ভয়াবহ সেশন জটে পড়তে যাচ্ছি। আমাদের পরীক্ষা নিতে হবে।
এছাড়া সাত কলেজের ২০১৯ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ, ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা এবং ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের মৌখিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে বলে জানান তারা। এ ছাড়া পূর্বঘোষিত পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষ ও ১০ মার্চ থেকে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের (বিশেষ) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও সরকারি সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সভায় সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিতের সিন্ধান্ত নেয়া হয়।
সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাতেই নীলক্ষেত মোড়ে প্রথমে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা মোড়ে অবস্থান নেন। রাত ১০টা পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন।