রং ফর্সা করতে টেলকম পাউডার মাখতেন প্রিয়াংকা
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: প্রিয়াংকা চোপড়ার ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট থেকে নেওয়া
ঢাকা (২৮ জানুয়ারি): ১৩ বছরের ছোট প্রিয়াংকা, গায়ের রং গাঢ় বরে তার পাঞ্জাবী পরিবারে তাকে মজা করে ডাকা হত ‘কালি কালি কালি’ বলে। কিন্তু মজার ছলে হলেও তা মনে দাগ কাটত শিশু প্রিয়াংকার। তাই তিনি রং ফর্সাকারী ক্রিম মাখতেন এবং চাইতেন যেন তার ত্বকের রং বদলে যায়। তিন মনে করতেন গাঢ় রং মানে সুন্দর না।
কিন্তু সেদিনের সেই শিশু প্রিয়াংকাটি আজ একজন সাহসী নারী, সফল অভিনেত্রী। যিনি নিজে কথা বলেন সমাজে প্রচলিত এ ধারণাকে বদলাবার জন্য, ছেড়েছেন রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপন করাও।
প্রিয়াংকা চোড়ার পরিবারের অন্যান্য ভাইবোনদের গায়ের রং ছিল ফর্সা। তাদের মধ্যে একমাত্র তিনিই ছিলেন শ্যাম বর্ণের। বাবার গায়ের রং পেয়েছেন তিনি। একটা সময় গায়ের শ্যামবর্ণের জন্য অনেক নেতিবাচক কথাও শুনতে হয়েছে তাকে।
নিজের ক্যারিয়ার জীবনে রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপনও করেছিলেন তিনি। কিন্তু তা একধরণের খারাপ লাগার অনুভুতি তৈরি করে এই অভিনেত্রীর মাঝে। তাই পরবর্তীতে এ ধরণের বিজ্ঞাপন করা বন্ধ করে দেন প্রিয়াংকা। মন থেকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে বিজ্ঞাপনগুলো না করলেও এর জন্য অনেক বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয়েছিল এ তারকাকে।
গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াংকা বলেছিলেন দক্ষিণ এশিয়ায় ত্বক ফর্সা করাটা কতটা স্বাভাবিক । এব এটা এত বড় ইন্ডাস্ট্রি যে সবাই এটা করত। এমনকি একজন নারী অভিনেত্রীর জন্য এটা কতটা জরুরি ছিল। তিনি দু:খ করে বলেছিলেন , যে বাচ্চাটি গাঢ় ত্বক সুন্দর নয় বলে বিশ্বাস করত এবং সেকারণে মুখে টেলকম পাউডার মাখত, এমন পরিস্থিতিতে তার জন্য বিষয়টি কতটা আতঙ্কের ছিল।
নিজের কিছু ছবিও শেয়ার করেছিলেন প্রিয়াংকা চোপড়া। যেখানে তিনি বলেছিলেনও ফর্সাকেই সুন্দর মনে করা ভারতে কত সাধারণ একটা বিষয়।
জীবনের অনেক চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন এই সাবেক বিশ্ব সুন্দরী। সম্প্রতি তার ও রাজকুমার রাও অভিনীত ছবি ‘ দ্য হোয়াইট টাইগার’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।