Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
রিভার্স ডায়েট: বেশি খাওয়া যেভাবে ওজন কমায়!

শনিবার

১৬ নভেম্বর ২০২৪


২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রিভার্স ডায়েট: বেশি খাওয়া যেভাবে ওজন কমায়!

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৪:০১, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৪:০৫, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
রিভার্স ডায়েট: বেশি খাওয়া যেভাবে ওজন কমায়!

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা (১ ফেব্রুয়ারি): ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে হরহামেশাই বিপাকে পড়েন অনেকে। এরপর শুরু হয় ওজন কমানোর জন্য কঠোর ডায়েটিং। অনেকে কম খেয়ে, কেউ কেউ প্রায় না খেয়ে উঠেপড়ে লাগেন ওজন কমাতে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে কমিয়ে দেন ক্যালরির পরিমাণ আর পুরোদমে শুরু করে দেন শরীর চর্চ। কিন্তু এর পরিণামে কেউ কেউ যেমন অসুস্থ হয়ে পড়েন আবার অনেকে বিরক্ত হয়ে ফিরে যান তার আগের খাদ্যাভাসে, যা উপকারের চেয়ে অপকারই বয়ে আনে। শারীরিক দূর্বলতা, মানসিক চাপ থেকে শুরু কওে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার মত ঘটনাও ঘটে থাকে।  ঠিক এমন পরিস্থিতিতে আপনার ওজন কমাতে কাজ করে রিভার্স ডায়েটিং।

রিভার্স ডায়েটিং কি?

রিভার্স ডায়েটিং হল এমন একটি খাদ্য পরিকল্পনা যেখানে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ক্রমান্বয়ে কিছু মাত্রায় বাড়তি ক্যালরি যুক্ত করা হয় যা দেহের বিপাক প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে তা আপনার দেহে আরো বেশি পরিমাণ ক্যালরি ক্ষরণ করার মাধ্যমে ওজন কমাতে সাহায্যে করে।

কাদের জন্য রিভার্স ডায়েটিং এবং কেন?

সাধারণত যারা দৌড়, রেসলিং বা বডিবিল্ডিং এর মত কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের কাজের সাথে যুক্ত তাদের মাঝে রিভার্স ডায়েটিং অনুসরণ করতে দেখা যায়। কিন্তু যারা দীর্ঘদিন ধরে বেশি মাত্রায় ক্যালরির পরিমাণ কমিয়ে ডায়েট করছেন তাদের জন্য রিভার্স ডায়েটিং উপকারি হতে পারে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দেহে ক্যালরির পরিমাণ কম হওয়ায় তা দেহের বিপাক প্রক্রিয়াকে দূর্বল করে ফেলে। দেহে খুধা এবং শক্তি নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন লেপটিন এর মাত্রা কমে যায়। ক্যালরির ক্ষরণ কম হয়। ফলে একজন মানুষেরে দেহে প্রতিদিন যে পরিমাণ শক্তি উৎপাদন প্রয়োজন হয় তা সম্ভব হয়না। পরিণামে শারীরক অসুস্থতা ছাড়াও তা মানসিক অবসাদের কারণও তৈরি করে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তাই এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটু একটু করে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ালে তা বিপাক প্রক্রিয়ার কার্যক্রমকে সক্রিয় করে তোলে, ক্যালরির ক্ষরণ বেশি হয় এবং ওজন কমে।

কিভাবে রিভার্স ডায়েটিং করবেন?

বর্তমানের খাদ্য তালিকার সাথে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম করে বাড়তি ক্যালরি যুক্ত করতে থাকার মাধ্যমে রিভার্স ডায়েটিং করা হয়। 

আপনার পুষ্টির উপকরণগুলো কি হবে তা বোঝার জন্য আপনি প্রতিদিন গড়ে কত ক্যালরি খাচ্ছেন আগে তা বের করুন। পরবর্তী কাজ হবে আপনার ওজনের প্রতি পাউন্ডের বিপরীতে একগ্রাম আমিষ গ্রহণ করার লক্ষ্য ঠিক করা। এরপর সেটিকে আপনার দিনের মোট গ্রহণকৃত ক্যালরি থেকে বাদ দিন। বাকি যে ক্যালরি থাকবে তা পূরণের জন্য শর্করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্নেহজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।  উল্লেখ্য এক গ্রাম আমিষ হচ্ছে চার ক্যালরি, এক গ্রাম শর্করা হচ্ছে এক ক্যালরি এবং এক গ্রাম স্নেহ হচ্ছে নয় ক্যালরি।

উদাহরণসরুপ, যদি আপনার ওজন হয় ১৫০ পাউন্ড তাহলে আপনার লক্ষ্য হবে ১৫০ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করা। অথ্যাৎ এর চারগুন মানে ৬০০ ক্যালরি গ্রহণ করা। এরপর এই ৬০০ ক্যালরিকে আপনার প্রতিদিনের মোট ক্যালরি থেকে বাদ দিন এবং বাকি ক্যালরি গ্রহণের জন্য শর্করা এবং স্নেহ জাতীয় পদার্থ বেছে নিন। 

এখন আপনার রিভার্স ডায়েটিং শুরুর প্রস্তুতি হয়ে গেছে। এইবার খুবই ধীর গতিতে আপনার শর্করা এবং স্নেহ গ্রহণের পরিমাণ প্রতি সপ্তাহে ২-৫% বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

এভাবে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ এই রিভার্স ডায়েট অনুসরণ করতে পারেন। এরপর আপনি সেটা মেনে চলতে পারেন কিংবা ওজন কমানোর জন্য ক্যালরি কমানোর প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে ফিরে যেতে পারেন।

রিভার্স ডায়েটিং এর সফলতা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। তাই এর শতভাগ উপকারিতা এখনো প্রমাণিত নয়। তবে গবেষণার সাথে সম্পৃক্তরা বলছেন অনেকেই রিভাসং ডায়েটিং অনুসরণ করর সফলতা পেয়েছেন। সাবধানতা অবলম্বন করে এই ডায়েটিং অনুসরণ ওজন কমানোতে সুফল বয়ে আনতে পারে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়