শুক্রবার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৫ আশ্বিন ১৪৩১,

১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মৃদুমাত্রায় করোনাভাইরাসের ধরন

বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২২:০৭, ২৬ নভেম্বর ২০২০  
মৃদুমাত্রায় করোনাভাইরাসের ধরন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৬ নভেম্বর): অস্ট্রিয়ার মেডিকল ইউনিভার্সিটি অফ ভিয়েনা’র বিজ্ঞানী ও গবেষকরা সাত ধরনের মৃদুমাত্রার করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছেন। ‘অ্যালার্জি’ সাময়িকীতে সম্প্রতি এ গবেষণার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

এ গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিশেষজ্ঞ উইনফ্রেড এফ পিকল এবং ‘অ্যালার্জিওলজিস্ট’ রুডল্ফ ভ্যালেন্টা। দুজনেই কাজ করছেন অস্ট্রিয়ার মেডিকল ইউনিভার্সিটি অফ ভিয়েনা’র ‘সেন্টার ফর প্যাথোফিজিওলজি, ইনফেকসিওলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজি’ বিভাগে।

গবেষণায় ১০৯ জন ‘কোভিড-১৯’ থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন এমন রোগী ও ৯৮ জন পুরোপুরি সুস্থ মানুষের তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

‘কোভিড-১৯’ রোগের আক্রান্তের মাত্রা যাদের তীব্র নয়, তাদের মাঝে রোগটির সাতটি ধরণ আবিষ্কার হয় এই গবেষণায়।

ধরনগুলো হল:
‘ফ্লু’য়ের মতো উপসর্গের সঙ্গে জ্বর, কাঁপুনি, অবসাদ এবং কাশি।
সাধারণ সর্দি, সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, খুশখুশে গলা, নাক বন্ধ থাকা এবং হাড়ের জোড় ও পেশিতে ব্যথা।
শুধুই হাড়ের জোড় আর পেশিতে ব্যথা।
চোখ জ্বালাপোড়া এবং ‘মিউকোসাল ইনফ্লামেইশন’।
ফুসফুসের সমস্যার সঙ্গে নিউমোনিয়া এবং দম আটকে আসার অনুভূতি।
‘গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল’ সমস্যার সঙ্গে ডায়রিয়া, বমিভাব ও মাথাব্যথা।
ঘ্রাণশক্তি লোপ পাওয়া, জিহ্বায় স্বাদ বুঝতে না পারা।

উইনফ্রেড এফ পিকল বলেন, “ঘ্রাণ ও স্বাদের অনুভূতি হারানোর উপসর্গ তাদের মধ্যেই বেশি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বয়স কম। এই বয়সের হিসেবের ভিত্তি হলো সেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টিকারী কোষ ‘টি লিম্ফোসাইট’য়ের সংখ্যা যা সম্প্রতি ‘থাইমাস’ গ্রন্থি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

এর অর্থ হল, এখন আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারি ‘কোভিড-১৯’ রোগের প্রাথমিক পর্যায়গুলো কেমন।”

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়