Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
শীতকালে সুস্থতায় গরম পানি পান

শুক্রবার

১৫ নভেম্বর ২০২৪


১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শীতকালে সুস্থতায় গরম পানি পান

বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২৯ নভেম্বর ২০২০  
শীতকালে সুস্থতায় গরম পানি পান

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (২৯ নভেম্বর): পানির অপর নাম জীবন। পানি শরীরের কোষগুলোকে পুষ্টি শোষণ করতে ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে। শীতের দিনগুলোতে গরম পানি পানের গুরুত্ব আরো বেশি, কারণ সংক্রমণের তীব্রতা প্রতিরোধ হতে পারে।

শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে ঠান্ডা পানি পরিহার না করলে তীব্রতা বেড়ে মারাত্মক পরিণতির ঝুঁকি রয়েছে। তাই সারাবছর না হলেও অন্তত শীতকালে গরম পানি পান করা উচিত। শীতে গরম পানি পানের রয়েছে নানা উপকারিতা।

শীতকালে কিছু লোকের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা দেখা দেয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য তথা মলত্যাগে যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি এড়াতে শীতের দিনগুলোতে গরম পানি পান করতে পারেন। নিয়মিত গরম পানি পান করলে খাবার দ্রুত ভেঙে নিয়মিত মলত্যাগ হবে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি কমবে।

কিছু গবেষণা ধারণা দিয়েছে যে গরম পানি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) দূরীকরণে সহায়তা করতে পারে। শীতকালে শরীর থেকে ঘাম নিঃসরণ কমে যায় বলে বিষাক্ত পদার্থ বেড়ে যেতে পারে। তাই এসময় শরীরকে ঘামাতে কুসুম গরম পানি পানের গুরুত্ব রয়েছে।

গরম পানি ভাসোডাইলেটর হিসেবে কাজ করতে পারে। এর মানে হলো- এটা রক্তনালীকে প্রসারিত করে রক্ত চলাচল বাড়াতে পারে। এতে পেশি শিথিল হয় ও ব্যথা কমে। তাই শীতকালে হার্টকে সাহায্য করতে কুসুম গরম পানি পান করা যেতে পারে।

গরম পানি অ্যাকালেসিয়ায় সহায়ক হতে পারে। অ্যাকালেসিয়া হলো এমন একটা স্বাস্থ্য সমস্যা যেখানে খাদ্যনালীর নিম্নভাগ শিথিল হতে ব্যর্থ হয়। এটা খাবারকে পাকস্থলিতে পৌঁছতে দেয় না। তাই গলায় খাবার/পানীয় আটকে আছে এমন অনুভূতি হলে কুসুম গরম পানি পানের গুরুত্ব কতটুকু তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

শীতকালে আমাদেও অনেকেরই শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা বেড়ে যায়। এসময় শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ অথবা উপশম করতে একটা বহুল প্রচলিত পরামর্শ হলো- গরম পানি পান করুন। গরম পানি বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক বা সাইনাস খুলতে সাহায্য করে, শ্বাসতন্ত্রের শ্লেষ্মা পাতলা করে ও শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে। শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণে গরম পানি পান করলে উপসর্গের তীব্রতা এড়ানো সম্ভব হতে পারে। এটা মনে রাখা ভালো যে শ্বাসতন্ত্রীয় সংক্রমণে ঠান্ডা পানি পান করলে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার জন্য আরো অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। তাই শীতের শুরু থেকেই প্রতিদিন কুসুম গরম পানি পান করলে শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ জনিত মারাত্মক পরিণতি প্রতিরোধ হতে পারে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়