করোনায় যে কারণে চুল পড়ে
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: টাইমস অব ইনডিয়া
ঢাকা, ২৭ অক্টোবর: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর মানুষের শরীরের বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে এ ভাইরাসে লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। প্রথম দিকে মৃদুজ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, গলা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা গেলেও সময়ের সাথে সাথে আক্রান্তদের মাঝে চুল পড়ার মতো বিশেষ কিছু উপসর্গও লক্ষ করা গেছে। তাই এখন কোভিড ১৯ এবং চুল পড়ার সাথে সম্পর্কের বিষয়টি খুজে বের করা এবং এর প্রতিকারের উপায় জানা জরুরী হয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কোডিভ ১৯ এর জটিলতা বোঝার জন্য যে সব উপায়ে মানুষের শরীরে এ ভাইরাস প্রবেশ করে সেগুলো বিস্তারিত স্টাডি করেছেন। এ ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে অনেক ধরণের উপসর্গের মধ্যে চুলপড়া অন্যতম বলে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি জেনেছেন। বিশেষ করে যে সব রোগীর মধ্যে এ ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়ে তাদের চুল পড়ে যাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের ডা. ল্যামবার্ট এবং সারভাইভার কোর ফেসবুক গ্রুপ পরিচালিত এক সার্ভেতে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে মোট ২৫ ধরণের উপসর্গ দেখা যায়। এর মধ্যে চুল পড়া অন্যতম। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব থাকবে এমন ১৫০০ রোগীর ওপর এ সার্ভে করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, এসব রোগীরা করোনা পরবর্তী সময়ে ঠাণ্ডায় নাকবন্ধ হয়ে থাকা বা বমি বমি ভাবের চেয়ে মাথার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় বেশি ভোগেন। এর কারণ সস্পর্কে এখনো নিশ্চিতভাবে না জানা গেলেও, অনেকে মনে করছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট মানষিক চাপ ও দুঃশ্চিন্তা থেকেই এ সমস্যা হতে পারে। ট্রমা, বড় ধরণের মানষিক আঘাত বা অসুস্থতার জন্য অত্যাধিক মানষিক চাপের কারণে ‘টেলোজেন ইফ্লুভিয়াম’ খ্যাত অস্থায়ী ভাবে চুল পড়ার সমস্যা হতে পারে। এছাড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের পর পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য না খাওয়ায় পুষ্টিহীনতার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। তবে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছাড়া কোন কিছুই নিশ্চিত ভবে বলা যাবে না।
এ বিষয়ে বিজ্ঞান সম্মতভাবে কিছু নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চুল পড়ে যাওয়ার বিষয়টি ক্ষণস্থায়ী। এক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দিতে হবে। এছাড়া এ অবস্থা থেকে সেরে ওঠার জন্য সুষম খাবার খুব জরুরী। ভিটামিন ডি এবং আয়রন সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার শরীরের জন্য বেশ কার্যকর। সবেশেষে একটি কথাই বলতে হয়, এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর হচ্ছে রোগীর শরীরের ইমিউন সিস্টেম। একবার একে পরাজিত করতে পারলে অন্য সমস্যাগুলো দীরে ধীরে এমতিতেই কেটে যাবে।
সূত্র: টাইমস অব ইনডিয়া