Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
জগিংয়ের জন্য কোন জুতো ?

রোববার

১৭ নভেম্বর ২০২৪


৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১,

১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জগিংয়ের জন্য কোন জুতো ?

ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ০০:০৫, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১
জগিংয়ের জন্য কোন জুতো ?

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (০৮ ফেব্রুয়ারি): বেড়ে যাওয়া ওজন আর জমতে থাকা মেদে বিরক্ত হয়ে ভাবলেন কাল থেকেই দৌঁড়াদৌঁড়িটা শুরু করে দেবেন। এবার চাই তার জন্য মানানসই একজোড়া জুতা। কিন্তু দোকানের শত জুতার ভিড়ে কোন জোড়াটি আপনার তা চিনে নেওয়া সহজ নয়।

অনেকেই দৌঁড়ের জন্য স্পোর্টস বা স্নিকারস কেনায় প্রাধান্য দেন। কিন্তু দৌঁড়ের জন্য উপযোগী সব জুতোই কিন্তু আপনার জন্য উপযোগী নয়। কারণ একেক জন মানুষের পায়ের গড়ন একেকরকম। তাই আরামের বিষয়টিও নির্ভর করে ব্যক্তিবিশেষে।

আবার একজোড়া জুতসই জুতা দূর্ঘটনা ঘটার আশংকাও কমায়। এ নিয়ে গবেষণাও চলছে কয়েক দশক ধরে। গবেষণায় দেখা যায় জুতা আরামদায়ক না হলে দৌড়ানোর সময় পা সেই অসামঞ্জস্যতার সাথে খাপ খায়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর তখনি আপনার অগোচরে ঘটে দূর্ঘটনা ।

দৌঁড়ের জন্য জুতা কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী। যেমন:

জুতোর ভেতরের কুশন

আরামদায়ক জুতা বলতেই অনেকে বেশি কুশনওয়ালা জুতা কিনে থাকেন। কিন্তু যখন দৌঁড়ের প্রসঙ্গ আসে তখন আপনার জন্য কোনটা আরামদায়ক সেটা চেনা জরুরী। যেমন যাদের পায়ের তলা সমতল ঘরানার তাদের জন্য কম কুশনওয়ালা জুতো কেনার পরামর্শ দেন দৌঁড় বিষয়ক বই ‘দ্যা কুল ইমপসিবল’র লেখক এরিক অরটন। তার মতে আরাম মানেই অনেক বেশি কুশন নয়। বরং এ ক্ষেত্রে জুতার মধ্যভাগের নমনীয়তার গুরুত্ব অনেক খানি। কারণ দৌঁড়ের সময় এর উপর পায়ের স্বাভাবিক নাড়াচাড়া নির্ভর করে। তিনি বলেন যাদের পায়ের পাতা অনেকটা সমতল ঘরানার তারা সমতল তলা বিশিষ্ট জুতায় আরাম বোধ করেন। আর যাদের পায়ের পাতার মধ্যভাগের গভীরতা বেশি তাদের জন্য যেসব জুতার মধ্যভাগ একটু উঁচু তেমন জুতা উপযোগী। তাই সমতল পায়ের জন্য কম কুশনের জুতা আরামদায়ক। আর যাদের পায়ের তলার মধ্যভাগ উঁচু তারা বেছে নেবেন বিপরীত ঘরানার জুতা।

টো বক্সের চওড়া

জুতার যে অংশে পায়ের আঙ্গুল থাকে সে জায়গা হল টো বক্স। জুতা কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে জুতোর সামনের অংশের দিকটা যেন প্রশস্থ থাকে। কারণ টো বক্স প্রশস্থ হলে পায়ের পাতা স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করতে পারে। আর আপনার পায়ের সম্মুখভাগ যদি তুলনামূলক চওড়া হয় তাহলে এ বিষয়টি মাথায় রাখতেই হবে।

টো বক্সের উচ্চতা

দৌঁড়েরর সময় পায়ের আঙ্গুল উপর নিচ করার জন্য টো বক্সের উচ্চতা বেশি হলে ভাল হয়। অরটন বলেন টো বক্সের উচ্চতা বেশি হলে তা দৌঁড়ের সময় পায়ের পাতা উচর নিচে স্বাভাবিকভাবে নাড়াচাড়া করায় সাহায্য করে।

যদি এর উচ্চতা কম হয় তাহলে তা পায়ের আঙ্গুলকে আটকে রাখে। যেটা দৌঁড়েরর সময় অস্বস্তি তৈরি করে। বিশেষ করে এটি হাঁটুর নিচের অংশ থেকে গোড়ালির পর্যন্ত অংশে ব্যাথার কারণ তৈরি করে।

জুতার সম্মুখভাগের খালি জায়গা

আঙ্গুলের শেষ মাথা থেকে জুতার শেষ অংশ পর্যন্ত বাড়তি ফাঁকা জায়গা থাকা জরুরি। কিন্তু কি পরিমান জায়গা প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনি কোথায় এবং কতটা পথ দৌড়াচ্ছেন তার উপর। এক্ষেত্রে সমতলের জন্য অধিক জায়গা এবং উঁচু ভূমিতে দৌড়ানোর জন্য তার অর্ধেক ফাকা জায়গা সমৃদ্ধ জুতা কেনার পরামর্শ দেন অরটন।

এবার আর কি; নিজের পায়ের গড়ন আর দৌড়ানেরা জায়গা বুঝে বেছে নিন আপনার পছন্দের জুতা জোড়া। আর কাকডাকা ভোড়ে বেড়িয়ে পড়ুন জুতো জোড়াকে সঙ্গী করে।

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়