আমড়ার গুণাগুণ
|| বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহীত
সবুজ রঙের গোলাকার টক-মিষ্টি ফল আমড়া। ভেতরের অংশটি আবার শক্ত কাঁটাযুক্ত। বিশেষ ভাবে কাটা হলে, দেখতে লাগে একদম ফুলের মতো। টক-মিষ্টি স্বাদের এ অদ্ভুত ফলের গুণের কিন্তু কমতি নেই। শুধু দাঁতেরই ৪ ধরনের সমস্যার সমাধান করতে পারে এ ফল।
মাঘ-ফাল্গুণে আমড়ার মুকুল আসে। এরপর ধরে ফল। কাঁচা-পাকা আমড়া বিট লবণ কিংবা কাসুন্দি দিয়ে মেখে খাওয়ার এটাই সময়। কেউ আবার আমড়া দিয়ে জ্যাম কিংবা আচার বানায়, কেউ মিশিয়ে দেয় ডালে। অনেকের পছন্দের এ টক ফলের পুষ্টি গুণ সম্পর্কে আমরা খুব কমই খোঁজ রাখি।
জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ৯০% পানি, ৪-৫% কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। এছাড়াও আমড়ায় থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং লৌহ থাকে।
আমড়ার গুণাগুণ
‘এন অ্যাপেল আ ডে, কিপস দ্যা ড. অ্যাওয়ে’- এ বিখ্যাত ইংরেজি প্রবাদটি হয়তো অনেকেরই জানা। আপেলের এতই গুণ, তা নাকি নিয়মিত খেলে আর ডাক্তারের প্রয়োজন পড়বে না। আমড়ার গুণ গাইতে গিয়ে আপেলের গল্প বলার কারণ হলো, ফল হিসেবে আমড়া আপেলের থেকেও বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কেননা, প্রতিটি আমড়ায় ৩টি আপেলের সমান পুষ্টি থাকে।
রক্তস্বল্পতা থাকলে আমড়া হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ এক ফল। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা রক্তস্বল্পতা রোধ করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমড়া খেলে রক্তের চাহিদা পূরণ হয় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।
রক্তের আরেক উপাদান কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণেও আমড়া দারুণ কাজ করে। রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে স্ট্রোক ও হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে আমড়া।
আমড়াতে রয়েছে বিভিন্ন দ্রবণীয় ও পেকটিন জাতীয় ফাইবার। যা পাকস্থলীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে। এতে পেট ঠাণ্ডা থাকে। বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই বদহজমের ভয়ে আমড়া এড়িয়ে চললে আপনারই ক্ষতি।
আপনার যদি ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমড়া আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করে নিতে পারেন। স্বর্দি-কাশি দমনে আমড়া বেশ উপযোগী। ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধেও লড়াই করে এ ফল।
মুখে রুচি ফিরিয়ে আনতে খেতে পারেন আমড়া। কারণ আমড়া মুখের অরুচি ভাব দূর করে। ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও আমড়ায় রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া, নখ ও চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে আমড়া।