রাত জাগার অভ্যাস, অজান্তেই ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছেন না তো
|| বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহীত
এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন। অর্থাৎ, তাদের ঘুমাতে অনেক দেরি হয়। রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকলে স্বাভাবিকভাবে সকালে উঠতে দেরি হয়। প্রয়োজনের বাইরে রাতে জেগে না থাকা ভালো।
অনেকে আছেন যারা প্রয়োজন ছাড়া শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রলিং কিংবা সিনেমা-ওয়েব সিরিজ দেখার জন্য রাত জাগেন। এতে বডি ক্লকে অনেক পরিবর্তন আসে। মাঝ রাতে কিংবা ভোরে ঘুমাতে যাওয়া মোটেও ভালো নয়।
চিকিৎসকরা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় সতর্ক করে থাকেন। কেননা, রাত জাগা থেকে হার্টের রোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের মতো অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এবার তাহলে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ লাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
হার্টে প্রভাব : ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রতি রাতে ৫ ঘণ্টার কম এবং ৯ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ঘুমের কারণে হার্টের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে কম ঘুমের কারণে করোনারি হৃদরোগ ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
ক্যানসারের ঝুঁকি : রাত জাগার অভ্যাস থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম কম হয়। আর স্বল্প ঘুম স্তন ক্যানসার, কোলোরেকটাল ক্যানসার ও প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত। যারা শিফট পরিচালনা করে রাতে কাজ করেন, তারা এই ঝুঁকিতে থাকেন।
লিবিডো কমে যাওয়া : পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে সেক্স ড্রাইভ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক সপ্তাহে ঘুম কম হয়েছে এমন যুবকদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেছে। পাঁচ বা এর কম সময় ঘুমালে সেক্স হরমোনের মাত্রা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পায়। এছাড়া ঘুম কমের কারণে মেজাজ ও শক্তি হ্রাস পায় বলেও জানিয়েছে যুবকরা।
ওজন বেড়ে যাওয়া : অল্প ঘুম ব্যাপক প্রভাব ফেলে শরীরে। এক সমীক্ষায় ২০ বছরের বেশি বয়সী ২১ হাজারেরও অধিক মানুষের ঘুম ও ওজন পরীক্ষা করা হয়। দেখা গেছে, যারা প্রতি রাতে ৫ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি ছিল এবং তারা মোটা হয়ে যায়। তবে যারা ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়েছে তারা ঠিক ছিল।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া : প্রাপ্তবয়স্ক যেসব মানুষ বেশি রাত জাগেন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। গবেষকদের মতে, ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম হলো ইনসুলিনের সমস্যা এড়ানোর উপযুক্ত উপায়।