শীতে মোলায়েম ত্বকের জন্য বিউটি ওয়েল
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১০ নভেম্বর): শীতে রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক, টানটান। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই বিভিন্ন ধরণের বডিলোশনসহ অনেক বিছু ব্যবহার করেন। কিন্তু এ সময় বিউটি ওয়েল ব্যবহারে ত্বকে আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় থাকে, লোমকূপ থেকে ময়লা দূর হয়, দাগ কমে ও উজ্জ্বলতা বাড়ে। এজন্য শীতকালে ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরণের বিউটি ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
রোজহিপ অয়েল: ত্বকের যত্নে এ তেল অনেকেই ব্যবহার করেন। এতে বিটা-ক্যারোটিন, রেটিনয়েক অ্যাসিড ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডে (ওমেগা ৩ ও ওমেগা ৬) রয়েছে। সাধারণত শুষ্কতা ও বয়সজনিত ত্বকের সমস্যা কমাতে এ তেল ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, অর্গানিক রোজহিপ অয়েল ত্বকের ক্ষতজনিত দাগ ও বলিরেখার উপস্থিতি কমাতে পারে।
পামকিন সিড অয়েল: অর্গানিক পামকিন সিড অয়েল বা কুমড়া বীজের তেলে প্রচুর পরিমাণে ত্বক নরমকারী ভিটামিন ই, দাগ দূরকারী জিংক, ফ্রি রেডিক্যাল বিতাড়ক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও স্বাস্থ্যকর ওমেগা রয়েছে। যাদের ব্রণ, শুষ্কতা ও বয়সজনিত ত্বকের সমস্যার প্রবণতা রয়েছে তাদের জন্য এ তেল বিশেষ উপকারী।
পমিগ্রানেট সিড অয়েল: পমিগ্রানেট সিড অয়েল বা ডালিম দানার তেলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ওমেগা ৫ ফ্যাটি অ্যাসিড (পিউনিসিক অ্যাসিড), প্রদাহরোধী উপাদান ও বয়সজনিত ত্বকের দুর্দশা প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে। এ তেল কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে ও ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল কমিয়ে ফেলে, ফলে ত্বক অকালে বুড়িয়ে যায় না। এ তেল নতুন কোষ সৃষ্টিতেও ভূমিকা রাখে, যা ত্বকের নমনীয়তা বাড়াতে ও বয়সজনিত দাগ বা কপালের ভাঁজ বা বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
হিবিসকাস অয়েল: কোল্ড-প্রেসড হিবিসকাস অয়েল বা জবা তেল তৈরি করা হয় জবার পুষ্টিকর বীজ থেকে। এ তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ই ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে- এসবকিছু ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখে। ত্বকে আর্দ্রতার মাত্রা বাড়াতে, ত্বকের ভাঁজ কমাতে ও ত্বকের নমনীয়তা বাড়াতে রাতে এ তেল ব্যহার করা যেতে পারে।
সানফ্লাওয়ার অয়েল: সানফ্লাওয়ার অয়েল বা সূর্যমুখী তেল কেবল রান্না নয়, ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী তেলে প্রচুর পরিমাণে লিনোলিক অ্যাসিড, টকোফেরল, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই থাকে। রান্নার জন্য অতি স্বাস্থ্যকর এ তেল শীতকালীন ত্বকের সমস্যা প্রশমনে আর্দ্রতা বৃদ্ধি ও কোমল করতে পারে।
ব্ল্যাক কামিন সিড অয়েল: প্রাচীন মিশর থেকে ব্ল্যাক কামিন সিড অয়েল বা কালো জিরা তেলের ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি প্রদাহ উপশম করে, নিরাময় দ্রুত করে, সিবাম উৎপাদনে ভারসাম্য আনে ও ত্বকের লোমকূপকে পরিষ্কার করে। ব্রণের প্রাদুর্ভাব দমাতেও এ তেল কার্যকর। ত্বকের প্রাকৃতিক গর্ত বা লোমকূপ সহজে বন্ধ হয়ে গেলে অথবা ব্রণের প্রবণতা থাকলে ত্বকের সুরক্ষায় নিয়মিত ব্ল্যাক কামিন সিড অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
টি ট্রি অয়েল: যেসব তেল নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা করা হয়েছে তাদের একটি হচ্ছে টি ট্রি অয়েল এবং ত্বকের যত্নে এই তেলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এই শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল তেলটি সংগ্রহ করা হয় টি ট্রি এর পাতা থেকে। ব্রণের কার্যকর ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে তিন থেকে পাঁচ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ২০ থেকে ৪০ ফোঁটা হ্যাজেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে। এই তেল ব্যবহারে ত্বকের সৌন্দর্য বেড়ে যায়, নখের গোড়ার ত্বক নরম হয়।