শুক্রবার

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪


৫ আশ্বিন ১৪৩১,

১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদন্ড 

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২৭ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ০৫:৪৭, ২৭ অক্টোবর ২০২০
ইরফান সেলিমের এক বছরের কারাদন্ড 

ছবি: বিজনেস ইনসাইডার

ঢাকা(২৬ অক্টোবর): সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার দায়ে এক বছর কারাদন্ড দিয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অপরাধে তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকেও একই সাজা দিয়েছেন ভাম্যমাণ আদালত। সোমবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে  বিষয়টি  নিশ্চিত জানিয়েছেন  র‌্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে ছয় মাস ও অবৈধ মাদক রাখার দায়ে ছয় মাস করে মোট এক বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে দুজনকে।

এর আগে ইরফান সেলিমের  বাসায় র‌্যাবের অভিযানে  নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম, বিদেশি মদ, অস্ত্র,  চাইনিজ কুড়াল প্রভৃতি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল  থেকে উদ্ধারকৃত ৩৮টি কালো ওয়াকিটকিসহ বিপুলসংখ্যক  ওয়্যারলেস  সামগ্রী  দেখে র‌্যাব কর্মকর্তারা ধারণা করছেন এই অবৈধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে পুরান ঢাকা নিয়ন্ত্রণ করতেন ইরফান সেলিম।

ইরফান সেলিমের ব্যবহৃত  নিষিদ্ধ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম উদ্ধার করে র‌্যাব

সোমবার  বিকেলে অভিযানের  এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের  চাঁন সরদার দাদার বাড়ির ভিতরে সাংবাদিকদের নিয়ে গেলে উদ্ধার এসব অস্ত্র-মাদক ও নিষিদ্ধ নেটওয়ার্কিং সিস্টেম দেখা যায়।

অভিযানে অংশগ্রহণকারী র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেন, হাজী সেলিমের ছেলে পুরান ঢাকা তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সম্পূর্ণ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের  মধ্যে  রেখেছেন। এজন্য তিনি অবৈধভাবে ভিপিএস ডিভাইস ব্যবহার করতেন। এই ডিভাইস  আইনশৃঙ্খলা  বাহিনী  ট্র্যাক করতে পারেন না। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই তিনি এই ভিপিএস নেটওয়ার্কিং সিস্টেম করেছিলেন।  

এসব ডিভাইসের মাধ্যমে তিনি ঘরে বসেই পুরো পুরান ঢাকার তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন বলে অভিমত র‌্যাব কর্মকর্তাদের।

এর আগে সোমবার ভোরে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নিজেই বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
 

Nagad
Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়