বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিজিবির সাফল্য প্রশংসনীয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ইউএনবি
ঢাকা (৩০ ডিসেম্বর): স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চোরাচালান, মাদকাচার, নারী ও শিশুপাচার এবং সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবির (বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) সাফল্য প্রশংসনীয়। বুধবার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর ইউএনবি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও মহান দায়িত্ব বিজিবি’র ওপর ন্যস্ত। নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদকপাচার ও নারী-শিশুপাচার রোধে বিজিবি’র সফলতা প্রশংসনীয়। বিশেষ করে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও অন্যান্য মাদকপাচার রোধে বিজিবি বিশেষ কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ দেশ গঠনমূলক কাজেও বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।
আসাদুজ্জামান খান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সকল পর্যায়ে বিজিবি সদস্যদের কল্যাণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যা বাহিনীকে এর কার্যক্রম পরিচালনায় আরো গতি এনে দেবে এবং তারা আরো বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারবে।
স্বরাস্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার বিজিবির সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতে ও একে আধুনিক সীমান্ত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবির সাংগঠনিক কাঠামো এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ও জনবল বাড়ানোর কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম, বলেন, সরকারের উদ্যোগে বিজিবি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে এ বাহিনীর সদস্যদের সক্ষমতা ও কর্মস্পৃহা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আজ তাদের মনোবল অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক উন্নত। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজিবি আজ ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
এ অনুষ্ঠানে বিজিবির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৫৯ জনকে পদক দেওয়া হয়। বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) ও ১৯ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিজিবিএমএস) দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবি’র কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।