জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস

ঢাকা(৩১ ডিসেম্বর):  জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি হয়েছে ইত্তেফাকের ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আমার দেশের ইলিয়াস খান সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে সভাপতি,সহ-সভাপতি, দুটি যুগ্ম সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ১১টি পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হয়েছে সরকার সমর্থকরা। অন্যদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৬টি পদে জয়ী হয়েছে বিএনপিপন্থীরা।

সভাপতি পদে ফরিদা ইয়াসমিন ভোট পেয়েছেন ৫৮১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বাসসের কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট।

এর ফলে প্রেস ক্লাবের ৬৬ বছরের ইতিহাসে ব্যবস্থাপনা কমিটির শীর্ষ পদে ফরিদা ইয়াসমিন সভাপতি নির্বাচিত হলেন। তিনি এর আগেও পরপর দুবার নারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বাসসের ওমর ফারুক ভোট পেয়েছেন ৩৯৩।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা-ই-জামিল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির অপর ছয় সদস্য জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম শওকাত হোসেন, গৌতম অরিন্দম বড়–য়া, শামীমা চৌধুরী ও মনিরুজ্জামান টিপু। 

এর আগে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৭টি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে এক হাজার ১৫১ ভোটারের মধ্যে এক হাজার জন ভোট দেন।

নির্বাচনে বিজয়ী অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ ৪১৩ ভোট পেয়েছেন , তার নিকটতম প্রতিদ্ধন্ধি আজিজুল ইসলাম ভুইয়া পেয়েছেন  ৩৬৭ ভোট, সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা পেয়েছেন ৬১৫ ভোট,তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধিতা খন্দকার হাসনাত করিম ৩৪০ ভোট পেয়েছেন, দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদে মাঈনুল আলম  ৫৭৭ ভোট ও মো. আশরাফ আলী পেয়েছেন  ৩৯৫ ভোট।তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি নাজমুল আহসান ৩১৫ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কল্যান সাহা পেয়েছেন ২৫২ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে শাহেদ চৌধুরী সর্বোচ্চ ৭০৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি সালাহউদ্দিন আহমাদ বাবলু ২৬৭ ভোট পেয়েছেন। 

এ ছাড়া ১০টি সদস্যপদে বিজয়ীরা হলেন- আইয়ুব  ভূঁইয়া (৫৪৪), রেজানুর রহমান (৪৭৪),কাজী রওনাক  হোসেন (৪৫৫),জাহিদুজ্জামান ফারুক,(৪৪৩),শাহনাজ বেগম পলি (৪৩০), সৈয়দ আবদাল আহমদ (৪২১),শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা (৪২০),ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী (৪১১),রহমান মুস্তাফিজ (৩৭৯) ও বখতিয়ার রানা (৩৬৮)।