বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানমের মৃতুতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফাইল ছবি
ঢাকা (২ জানয়ারি): বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ও বিশিষ্ট নারীনেত্রী আয়শা খানমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ। শনিবার দেয়া আলাদা শোক বার্তায় তারা এ শোক প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন শোক বার্তায় বলেন, আয়শা খানম আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাচমেট এবং অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আশির দশকের শেষের দিকে এবং নব্বই দশকের প্রথম দিকে নারী ও শিশু পাচার রোধে আমরা একসাথে কাজ করেছিলাম। মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক আয়শা খানমের মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট নারী নেত্রীকে হারালো।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শোকবার্তায় নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আয়েশা খানমের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আয়েশা খানম ছিলেন বাংলাদেশে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব এবং ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের পথে এগিয়ে যেতে যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছিল সেসব গুলোতেই তিনি সামনের সারিতে ছিলেন। তাছাড়া বাংলাদেশে নারী অধিকার রক্ষা ও নারীর প্রতি সব রকমের সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বদা তিনি সোচ্চার ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারস শোকবার্তায় জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানম মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। নারীর অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠায় তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালো।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান শোক বার্তায় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানম বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের অভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক। আজীবন তিনি এদেশে নারীর অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। যা কখনও পূরণ হবার নয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা শোক বার্তায় বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানম বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের অভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক। আজীবন তিনি এদেশে নারীর অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। যা কখনও পূরণ হবার নয়'।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার শোকবার্তায় বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানমের মৃত্যুতে এদেশের নারী আন্দোলন এক অকৃত্রিম বন্ধু ও অভিভাবককে হারাল। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানমের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান শোকবার্তায় জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানম মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। নারীর অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠায় তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালো।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শোকবার্তায় জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়শা খানম মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। নারীর অধিকার আদায় ও প্রতিষ্ঠায় তিনি আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশের নারী সমাজ একজন অকৃত্রিম বন্ধু ও সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালো।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী শোকবার্তায় নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসনে আয়েশা খানম এর অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি মরহুমার বিদেহ আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য শোকবার্তায় নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী ও তাদের দোসরদের নির্যাতনের শিকার নারীদের পুনর্বাসনে আয়েশা খানমের অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাষট্টির ছাত্রআন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রগতিশীল আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন আয়শা খানম। নারীদের সব রকমের সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বদা আমৃত্যু নিয়োজিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ নারী আন্দোলনের এক অকৃত্রিম অভিভাবককে হারালো।
ক্যান্সার আক্রান্ত আয়শা খানম শনিবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতাল মারা যান। নেত্রকোনায় নিজ গ্রামে তাকে দাফন করা হবে।