২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা(০৩ জানুয়ারি): আগামী ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হবে। একইসঙ্গে উদযাপন করা হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী।
রবিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ কথা জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের সরকারি উদ্যোগ ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সেটা পালন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব বর্ষকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য থাকবে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন এবং বীরাঙ্গনাদের যেই অবদান সেই বিষয়গুলো সর্বস্তরের পর্যায়ে সর্বোচ্চভাবে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা করা হবে।
মন্ত্রি বলেন, বৈশ্বিক মহামারির প্রকোপ কমে আসলে, ফেব্রুয়ারি আগে যদি দেশের করোনা পরিস্থিতি ঠিক থাকে তাহলে বড় পরিসরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করা হবে। তা সম্ভব না হলে সীমিত পরিসরে আর্মি প্যারেড গ্রাউন্ডে করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের জন্য গঠিত মন্ত্রীসভায়-‘থিম সং’ এর জন্য তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নেতৃত্বে একটি উপকমিটি, ‘লোগো’র জন্য শিক্ষামন্ত্রী ড.দিপুমনি এর নেতৃত্বে একটি উপকমিটি এবং নতুন একটি ওয়েবসাইট খোলার জন্য আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এর নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হয়েছে।
এই উদযাপন কমিটি তাদের বছরব্যাপী কর্মসূচির প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করবে এবং উনার সম্মতিক্রমে তা চূড়ান্ত করা হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ২৬ মার্চ ৫০ বছর পুর্তি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নির্ধারিত জাতীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। এছাড়া ২৬ মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে।
এছাড়া বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বিভিন্ন ঘটনাগুলো গণমাধ্যম, টিভিসি, ডকুমেন্টারি ও স্বল্পদৈর্ঘ্য-পূর্নদৈর্ঘ্য চলচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। ৫০ জন মুক্তিযুদ্ধ ও ৫০ টি পতাকা দিয়ে ২৬ মার্চ থেকে সুবর্ণ জয়ন্তী শোভা যাত্রা শুরু করে ৬৪ টি জেলা প্রদক্ষিণ করে ১৬ ডিসেম্বর এসে সমাপ্ত হবে।