অক্সফোর্ডের টিকা রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (৪ জানুয়ারি): অক্সফোর্ডের টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। রোববার ভারত জরুরিভাবে এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তবে এ টিকা এখন রপ্তানি করা যাবে না এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান।
বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়াল্লা বলেন, ভারতীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা রোববার ভ্যাকসিনটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। তবে এক্ষেত্রে তারা শর্ত দিয়েছে যে, সেরাম ইনস্টিটিউট আপাতত এই ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারবে না।
এমনকি সরকার ছাড়া স্থানীয় বাজারেও এই টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট বিক্রি করতে পারবে না বলেও ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা শর্ত দিয়েছে জানান পুনাওয়াল্লা। ভারতের জনগণের সবার জন্য এ টিকা নিশ্চিত করতেই সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে তিনি জানান।
পুনাওয়াল্লা বলেন, প্রাইভেট মার্কেটেও এ টিকা বিক্রির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এখন কেবল ভারত সরকারের কাছে তারা এ টিকা বিক্রি করতে পারবে বলে তিনি জানান। এ টিকার মজুদ করা যাবে না বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পুনাওয়াল্লা জানান এর ফলে আগামী মার্চ এপ্রিলের আগে অন্য কোন দেশে এ টিকা রপ্তানি করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট এখন কোভ্যাক্সের সঙ্গে ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডোজের বড় একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য কাজ করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ চুক্তি চূড়ান্ত হবে।
পুনাওয়াল্লা বলেন, প্রথম ১০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা ভারত সরকারের কাছে প্রতিটি ২০০ রুপি করে বিক্রি করা হবে। এরপর এর দাম বেড়ে যাবে। প্রাইভেট মাকের্টে এ টিকা প্রতিটি ১০০০ রুপি করে বিক্রি করা হবে। পুনাওয়াল্লা জানান, তার কোম্পানি এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কোভ্যাক্সকে ২০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। তবে তিনি স্বীকার করেন কোভ্যাক্স এবং ভারত সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই তারা টিকা বিতরণ করবেন। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে আমরা সবাইকে টিকা দিতে পারছি না। এক্ষেত্রে আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ, সৌদি আরব এবং মরক্কোর সঙ্গে সিরাম ইনস্টিটিউট এ টিকার ব্যাপারে আলাদা ভাবে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নিয় আলোচনা করছে জানিয়ে পুনাওয়াল্লা বলেন, এর ফলে আমাদের দেশের কোন রাজ্য বা অন্য দেশের সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে এমন স্থানের ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
বিশ্বের বিভিন্ন টিকা নির্মাতারা যে পরিকল্পনা করেছে সেগুলো যদি ঠিকমতো কাজে লাগানো যায় তাহলে, আগামী বছরের মধ্যেই করোনাভাইরাসে টিকা স্বল্পতার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে পুনাওয়াল্লা আশা প্রকাশ করেন।