করোনাভাইরাসের বিরল মিউটেশনের সন্ধান পেয়েছে এনজিআরআই
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির লোগো
ঢাকা (১৭ জানুয়ারি): করোনাভাইরাসের বিরল একটি মিউটেশনের (ওয়াই২০৪এফ) সন্ধান পেয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) জেনম রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এনজিআরআই)। স্পাইক প্রোটিনে প্রাপ্ত বিরল এ মিউটেশন কেবল বাংলাদেশে নয় সারাবিশ্বে প্রথম পাওয়া গেছে দাবি করা হয়েছে। রোববার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিই দেশের প্রথম এবং একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদালয় হিসেবে নিজস্ব স্থাপনা এনএসইউ জেনম রিসার্চ ইন্সটিটিউটে (এনজিআরআই) করোনাভাইরাসের জেনম ক্রমবিন্যাস করেছে। এনজিআরাআইতে এনএসইউর স্কুল অব হেল্থ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সের ডিন প্রফেসর হাসান মাহমুদ রেজা এবং এনজিআরআইর পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাকসুদ হোসাইনের নেতৃত্বে গবেষকরা ‘ইলুমিনামাইসেক’ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের ৫৮টি আলাদা ক্রমবিন্যাস সম্পন্ন করেছেন। এক্ষেত্রে তাদেরকে নমুনা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফিরোজ আহমেদ এবং প্রফেসর আমিনুল ইসলাম।
২৯টি প্রোটিন দিয়ে করোনাভাইরাস গঠিত। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ন ‘থেরাপিউটিক টার্গেট’ হিসেবে চারটি গঠনগত প্রোটিন নিয়েই বেশি গবেষণা এবং অনুসন্ধান চালানো হয়। এদের মধ্যে আবার ‘স্পাইক প্রোটিন’ নিয়েই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি স্টাডি করা হয়েছে।
এনজিআরআই বলছে, এই চারটি গঠনগত প্রোটিনের মধ্যে তারা বেশ কিছু বিরল মিউটেশন পেয়েছেন যা সারা বিশ্বে কেউ খুজে পায়নি। এসব বিরল মিউটেশনের মধ্যে একটি পাওয়া গেছে স্পাইক প্রোটিনে। একে বাংলাদেশে তথা সারাবিশ্বে প্রথম বারের মতো পাওয়া গেছে বলে এনজিআরআই দাবি করছে।
এনজিআরআই গবেষক দলে অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন প্রফেসর আব্দুল খালেক, প্রফেসর কাজী নাদিম হাসান, অরা রহমান, তাহরিমা হক, নওশিন, আব্দুস সাদিক এবং জাহিদুল আলম।