নির্দিষ্ট সময়েই ভ্যাকসিন আসবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক , বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (১৮ জানুয়ারি): নির্ধারিত সময়েই আসবে ভ্যাকসিন। জানুয়ারির ২৫-২৬ তারিখেই ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা আছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রয়োগ করা শুরু হবে। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনা হবে যা দেড় কোটি মানুষ পাবে। তিনি জানান, উপহার হিসেবে ভারত একটি বড় সংখ্যার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাঠাবে।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) তে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভ্যাক্সিন পাওয়ার দিকে প্রাধান্য দেওয়া হবে ৫৫ বয়সের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, যারা ১৮ বছরের নিচে কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। যদি ডব্লিউএইচও স্বীকৃতি দেয় তাহলে তাদেরে দেওয়া হবে। তিনি জানান, সকল মানুষই ভ্যাকসিন পাবে। সম্মুখসারির কর্মীরা হিসেবে যেহেতু সাংবাদিকদের সংখ্যা অন্যান্যদের থেকে কম তাই প্রতিটি সাংবাদিকই ভ্যাকসিন পাবেন।
করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের তরফ থেকে ‘অব্যবস্থাপনা’ হয়েছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব শুরু পর আমরা তাড়াতাড়ি ট্রিটমেন্ট প্রটোকল করেছি। কেই জানতো না কিভাবে ট্রিটমেন্ট করতে হবে। তারপরেও আমরা দ্রুত টিট্রমেন্টের কাজ শেষ করেছি।
জাহিদা মালেক বলেন, তারপরেও আপনারা বলছেন অব্যবস্থাপনা হয়েছে। এটা মানতে পারলাম না। যেখানে কেউ জানতো না, কিভাবে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা করতে হবে। আমরা যখন জানলাম আগে টেস্ট করতে হবে। আমরা একটি ল্যাব থেকে ২শ ল্যাব করলাম। তাহলে অব্যবস্থাপনা কিভাবে হয়।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনাকালে বেসরকারি খাতে কিছু দুর্নীতি হয়েছিল। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। শাহেদ, সাবরিনার কথা এসেছে। আজকে তারা জেলে। যেখানে অপরাধ হয়েছে অনিয়ম হয়েছে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসা দিতে চায়নি, আমরা তাদের ডেকে ডেকে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। আজকে ইউরোপ, ইতালি,জার্মানি, স্পেন পারছে না, তাদের হাসপাতালে জায়গা নেই। যুক্তরাজ্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সেই তুলনায় আমরা ভালো আছি।
করোনা মোকাবিলায় সফল হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে প্রশংসা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা করোনা যেভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি। ঠিক সেভাবে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগে সফল হবো। ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রায় ৪২ হাজার জনকে প্রশিক্ষিত করার হচ্ছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আজকে যে দেশের করোনা পরিস্থিতি ভালো, সে দেশের অর্থনীতি ভালো। আমাদের অর্থনীতি ভালো আছে। কারণ করোনা ইজ আওয়ার আন্ডার কন্ট্রোল, দ্যাটস হোয়াই ইকোনোমি ইস রানিং প্রোপালি।
জাহিদ মালেক বলেন, মাস্ক একটা কার্যকর ব্যবস্থা এটা কেউ জানত না। আমরা ক্যাম্পেইন করেছি, সার্ভিস পেতে হলে মাস্ক পরতে হবে। নো মাস্ক নো সার্ভিস- পদক্ষেপ নিয়েছি।