বৃহস্পতিবার দুপুরে আসছে করোনা টিকা,পরীক্ষামূলক প্রয়োগ ২৭ বা ২৮ জানুয়ারি
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
গ্রাফিক্স: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (২০ জানুয়ারি): বৃহস্পতিবার দুপুরে দেশে আসছে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে দেওয়া ২০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানযোগে শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
স্বাস্থ্য সচিব জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় ভারতের উপহারের ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছাবে। সেখান থেকে তেজগাঁয়ের ইপিআয়ের স্টোরেজে টিকা নিয়ে যাওয়া হবে। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই টিকা গ্রহন করবেন।
তিনি জানান, টিকা পৌঁছানোর পর ২৭ অথবা ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় প্রথমে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রাথমিকভাবে এই টিকা দেয়া হবে। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটৌকল অনুযায়ী এক সপ্তাহ অপেক্ষা করে পরে সারাদেশে টিকা দেওয়া শুরু হবে।
তিনি জানান, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিলেও দেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল না হওয়ায় গণটিকাদান শুরু করার আগে এই পরীক্ষামূলক প্রযোগ করা হচ্ছে। তাদের পর্যবেক্ষনের পর আগামি ৮ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদানের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকারিভাবে বাংলাদেশের কেনা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ ২৫ জানুয়ারি দেশে পৌঁছাবে। সারাদেশের টিকাদানের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কোন বেসরকারি হাসপাতালে টিকা দেওয়া হবে না। সরকারি হাসপাতালের বাইরে কোন টিকা কেন্দ্র থাকবে না। সার্বিক কার্যক্রম সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। কিনে নেওয়া ৫০ লাখ ও উপহারের ২০ লাখ ডোজের মধ্যে থেকে। ২য় মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারিতে যারা টিকার প্রথম ডোজ নিবেন তারা এক মাসপর ২য় ডোজ পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক জুয়নো আজিজ, আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এবিএম খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ের প্রথম ধাপে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ বা ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত সেরাম ইনস্টিটিউট ছাড়া আর কারও সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়নি, অন্য কোনো টিকা বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদনও দেওয়া হয়নি।