ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের নেতৃত্বে বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে নয়াদিল্লির মূলকেন্দ্র রাজপথে কুচকাওয়াজ। ছবি: ইউএনবি
নয়াদিল্লি (২৬ জানুয়ারি): ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশি তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্ট। মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লির মূলকেন্দ্র রাজপথে এ কুচকাওয়াজে অংশ নেয় বাংলাদেশি কন্টিনজেন্ট। খবর ইউএনবি।
পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর স্মরণে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রথম ১০ সারিতে ছিলেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১২২ সদস্য।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন বাহিনীর কন্টিনজেন্টের প্রথম ছয় সারিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পরের দুই সারিতে নৌবাহিনী ও শেষের দুই সারিতে বিমানবাহিনী ছিল।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, '১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে মুক্ত করা কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারিত্ব বহন করবে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্ট।'
ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ ভিক্রান্তের মডেল এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় পরিচালিত সমুদ্র অভিযানের চিত্র কুচকাওয়াজে তুলে ধরে ভারতীয় নৌবাহিনী।
এ বছর কোভিড মহামারির কারণে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুচকাওয়াজের দৈর্ঘ্য ৮.২ কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৩.৩ কিলোমিটারে নামিয়ে আনা হয়। সেই সাথে দর্শক সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার থেকে করা হয় ২৫ হাজার।
পাশাপাশি, গত পাঁচ দশকের মধ্যে এবার প্রথমবারের মতো ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে কোনো বিদেশি নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
ভারত এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি দেশে কোভিড প্রাদুর্ভাবের কারণে সফর বাতিল করে দেন।
১৯৬৬ সালে ভারত সর্বশেষ কোনো বিদেশি নেতাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। সেবার প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী হঠাৎ করে মারা যান এবং প্রজাতন্ত্র দিবসের দুই দিন আগে ২৪ জানুয়ারি ইন্দিরা গান্ধি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।