চসিকের নতুন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী
চট্টগ্রাম ব্যুরো || বিজনেস ইনসাইডার
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম (২৮ জানুয়ারি): চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। খবর ইউএনবি।
বুধবার দিনভর ভোট গ্রহণের পর গণনা শেষে রাত ২টায় ফলাফল ঘোষণাকালে রেজাউল করিম চৌধুরীকে মেয়র পদে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মোট ৭৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩৩টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে (দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত)। এতে তিনি ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন রেজাউল করিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট।
নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বদ্বী অন্য প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলনের জান্নাতুল ইসলাম, ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবদুল মনজুর ও স্বতন্ত্র খোকন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম নগরীর ৪১ ওয়ার্ডের মোট ৭৩৫টি কেন্দ্রে এবার ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯২ হাজার ৩৩ জন ও নারী ভোটার ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৩ জন।
চসিক নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর পর সকাল পৌনে নয়টার দিকে নগরের বহদ্দারহাটের এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। তবে জয়-পরাজয় যা-ই হোক, তিনি তা মেনে নেবেন বলে জানান।
অন্যদিকে, সকাল ১০টার দিকে নগরীর বাকলিয়া টিচার্স ট্রেনিং কলেজের প্রশাসনিক ভবন কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সিটির সব ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিয়োগ করেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। মোট ৪১ ওয়ার্ডে ৭৩৫টি কেন্দ্রের ৪ হাজার ৮৮৬টি বুথে ভোট গ্রহণ হেয়। ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করেছেন ৭৭৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ জন পোলিং এজেন্ট।
এছাড়া ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ২২৬ জন। যার মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন মোট ১৬৯ জন। আর ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় এবং ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এই দুই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়নি। আর সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন ৫৭ জন।
নির্বাচনী সহিংসতার কারণে পাথরঘাটা ওয়ার্ডের দুইটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।