পরীক্ষার ফল নিয়ে কেউ বিরূপ মন্তব্য করবেন না: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা (৩০ জানুয়ারি): প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নিয়ে কেউ বিরূপ মন্তব্য করবেন না। শিক্ষার্থীদের জীবন থেকে মূল্যবান সময় নষ্ট না করতে পরীক্ষা ছাড়াই পাশের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমি আশা করি সবাই এ ব্যাপারে আনন্দিত হবে এবং তাদের পড়াশোনা অব্যাহত থাকবে।
শনিবার গণভবন থেকে অনলাইনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সারা বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষাথীদের জীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে যাক সেটা আমরা চাই না। তাদের জীবন চলমান থাকুক সেটাই আমরা চাই। সেই কারণেই আমরা এ ফল ঘোষণা করলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রমোশন পাবে, আগামীতে পড়াশোনা শুরু করতে পারবে। পরবর্তী পরীক্ষার উপরে তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে। অনেকেই এটা নিয়ে অনেক কথা বলছেন। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে খুব বেশি তিক্ততার সৃষ্টি করা উচিৎ হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ছোট ছেলেমেয়েদের জীবনের দিকে তাকাতে হবে। তারা যেন কোন ভাবেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে না পড়ে। এমনিতেই তারা স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারছে না। এটা তাদের জন্য বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করছে। সেই ক্ষেত্রে আবার যদি এ ফল প্রকাশের পদ্ধতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা হয়, তাতে তাদের উপর মানষিক চাপ পড়বে। তাই যারা এ ধরনের কথা বলছেন, তাদেরকে বিরত থাকার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে, তখন যদি কেউ সংক্রমিত হতেন, তাহলে সেই দায় কে নিত? যারা ফলাফল তৈরীর নতুন পদ্ধতির সমালোচনা করছেন তারা দায়িত্ব নিতেন?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার চালু করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যেভাবে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রত্যেকেই যদি যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলে, তাহলে এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে। এরপর আমরা খুব শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় খুলে দিতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। কারণ এটি গত বছর মার্চ মাসে দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফেব্রুয়ারিতে যদি পরিস্থিতি ভালো থাকে, তবে আমরা সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নেব। আমাদের সে ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি এজন্য সবাইকে যথাযথ ভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ জানান।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। এ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।