৩৭টি জেলায় পৌঁছে গেছে করোনাভাইরাসের টিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
করোনাভাইরাসের টিকা। ছবি: বিজনেস ইনসাইডার
ঢাকা (৩১ জানুয়ারি): দেশের ৩৭টি জেলায় ইতোমধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছে গেছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একসঙ্গে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
টিকাদান কর্মসূচির শুরুতেই টিকা নেবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপর সম্মুখ সারির যোদ্ধা এবং অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী অন্যরা এ টিকা নেয়ার সুযোগ পাবেন। টিকাদান কর্মসূচিতে যারা স্বেচ্ছাসেবী বা কর্মকর্তা হিসেবে থাকবেন অনেক জেলায় রোববার থেকেই তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম শনিবার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। ওইদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টিকা নেবেন। সারাদেশে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম একই সময়ে উদ্বোধন করা হবে।
মহাপরিচালক জানান, উদ্বোধনের দিন ঢাকার একটি হাসপাতালে টিকাদান শুরুর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক উপস্থিত থাকবেন। তিনি বলেন, সেদিন ফ্রন্টলাইনারদের সঙ্গে দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও টিকা নেবেন। ওইদিন আমার অধিদপ্তরের দেড়শ জনকে টিকা দেওয়া হবে। আমরা আশা করছি, ডিজি অফিসের সবাই ওইদিন সেখানে টিকা নেবে।
খুরশীদ আলম বলেন, ঢাকায় আপাতত কমবেশি ৪৩টি জায়গায় আমরা করোনাভাইরাসের টিকা দেব। আর আমাদের এখানে ৩৫৪টা টিম কাজ করবে। এটাই হচ্ছে আমাদের আপাতত প্ল্যান। তিনি জানান, সব মিলিয়ে সারাদেশে ৬ হাজার ৬৯০টি টিম কাজ করবে। কিন্তু এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে না। ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪ হাজার ৬০০টি কেন্দ্র হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া টিকা দিতে গেলে বিশৃংখলা সৃষ্টি হবে। এ কারণে কষ্ট করে হলেও সবাই রেজিস্ট্রেশন করুন। তিনি বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে আমাদের লোকজন থাকবে। কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে, তাকে আমাদের লোকজন সাহায্য করবে।
শনিবার পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১১ হাজার মানুষ সুরক্ষা ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে তিনি জানান।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় করোনাভাইরাসের টিকা পৌঁছে দিচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে দেশে টিকা আমদানি কারক বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। জেলা পর্যায়ে নির্ধারিত তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করা হচ্ছে ইপিআই (সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির) স্টোরে। সেখান থেকে তা সরকারের ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।