সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড

সাতক্ষীরা (৪ ফেব্রুয়ারি): সাতক্ষীরার কলারোয়া শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার রায়ে প্রধান আসামি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের ১০ বছর করে এবং বাকি আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির এই রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় ৫০ আসামির মধ্যে হাবিবসহ ৩৪ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হয় গত ২৭ জানুয়ারি।

ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষে সাতক্ষীরার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির ৫০ আসামির মধ্যে কাঠগড়ায় উপস্থিত তালা-কলারোয়া আসনের দুইবারের সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৪ জনের জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলার রায় প্রদানের দিন ধার্য করা হয় আজ ৪ ফেব্রুয়ারি।

৫০ আসামির একজন টাইগার খোকন অন্য মামলায় জেলহাজতে আটক রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ১৫ জন ।

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালিন এমপি হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

গাড়িবহরে ওই হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার সফরসঙ্গী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফাতেমা জামান সাথী, আবদুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল, শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন।

এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম।