পরিবর্তিত পরিকল্পনায় ৩৫ লাখ টিকা দেয়া হবে: ডা. খুরশীদ আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বিএম খুরশীদ আলম
ঢাকা (৪ ফেব্রুয়ারি): করোনভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির প্রথম মাসের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।এই পরিবর্তিত পরিকল্পনায় ৩৫ লাখ টিকা দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বিএম খুরশীদ আলম এ কথা জানিয়েছেন।
খুরশীদ আলম বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান শুরুর মাধ্যমে প্রথম মাসে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন এর বদলে ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মহাপরিচালক বলেন, গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে টিকা বিতরণ সম্পর্কিত বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর পরিকল্পনায় এ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সরবরাহ পরিস্থিতিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
খুরশীদ আলম বলেন, আমরা চিন্তা করেছি, যদি কোনো কারণে সাপ্লাই চেইন অব্যাহত রাখতে না পারি, তাহলে টোটাল ব্যবস্থাপনা ভেস্তে যাবে। সেজন্য আমরা হাতে থাকা টিকা অর্ধেক করে পুরোপুরি কমপ্লিট ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
তিনি জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম ডোজ দেওয়ার চার থেকে বারো সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, ৩৫ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ দেওয়ার পর দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দেওয়া হবে।
মহাপরিচালক বলেন, ৭০ লাখ টিকার অর্ধেক দিয়ে বাকি অর্ধেক রেখে এক মাস পর দেব। এতে অন্তত ৩৫ লাখ লোককে আমরা কমপ্লিট ভ্যাকসিনেশনে আনব। একটা নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে আমরা সুরক্ষিত করে দিই। প্রথম ডোজ দিলাম, কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ যদি পেতে দেরি হয়, তাহলে পুরো বিষয়টি নষ্ট হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি আমাদের দ্বিতীয় লট চলে আসে, তাহলে আগের পরিকল্পনায় চলে যাব।
টিকার পাওয়ার অনিশ্চয়তা সম্পর্কে ডা. খুরশীদ আলম বলেন, টিকা নিয়ে সারা বিশ্বে ‘অত্যন্ত ক্রুশিয়াল পলিটিক্স’ চলছে। ইউরোপের কয়েকটি দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সবারই টিকা দরকার। দেশের চাহিদা যদি না মেটাতে পারে, তাহলে সরকার তো রপ্তানির অনুমতি দেবে না। আমরা এটা আশঙ্কা করছি। যদিও বেক্সিমকো আমাদের এখনও পর্যন্ত বলছে সঠিক সময়েই তারা টিকা দেবে। তারপরও আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করছি।