আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণেই ১২ বছর কেটে গেল বিএনপির: কাদের
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ( ফাইল ফটো)
ঢাকা (০৯ ফেব্রুয়ারি): আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণে করতেই বিএনপির ১২ বছর কেটে গেল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আন্দোলন কোন বছর হবে। তাদের আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সালেহপুর সেতুর চার লেনবিশিষ্ট দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা কি চান, তা তারাও জানে না। বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা এবং সরকার পতনকেই নিজেদেও কৌশল হিসেবে নিয়েছিল। জনগণও এখন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান, দলীয় নেত্রীর মুক্তির জন্য তাদের আগ্রহ যতটা না বেশি, তারচেয়ে বেশি আগ্রহ সরকার বিরোধিতায়।
আওয়ামী লীগের সাধারষণ সম্পাদক বলেন, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ঘোষণা করেছে। এটি কোন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়। বরং কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতারা এখন বলছেন সংগঠনকে গুছিয়ে তার পর আন্দোলনে নামবেন। এতে জনগণ বুঝে গেছে বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা কতটুকু। তাদের এমন অজুহাতেই একযুগ পেরোল। কর্মীরাও হতাশ। গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই তারা সীমাবদ্ধ।
তিনি বিএনপির নেতাদেও উদ্দেশ্যে বলেন. খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের কাছে নয়, ক্ষমা যদি চাইতেই হয় তা হলে আগুন সন্ত্রাস আর নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণের কাছেই ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এসময় সড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, পরিবহনে যতদিন শৃঙ্খলা ফিরে না আসবে, ততদিন যতই উন্নয়নকাজ হোক না কেন তাতে কোনো লাভ হবে না। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৌন্দর্য রক্ষায় অনতিবিলম্বে ব্যানার, ফেস্টুন ও সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতে হবে। সড়কে চলমান যেসব কাজ চলছে, সেগুলো বর্ষার আগেই শেষ করতে হবে।