দীপন হত্যায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আট জনের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ
ঢাকা (১০ ফেব্রুয়ারি): ‘জাগৃতি’ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী প্রকাশক ও ব্লগার ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আট জনের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাস দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে রায়ে প্রত্যেক আসামির ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আটজন হলেন- আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার ও শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। এদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম এখনো পলাতক রয়েছেন।
২৪ জানুয়ারি মামলার সবশেষ ধাপ যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ঘটনার পাঁচ বছরের বেশি সময় পর আজ এ রায় দেয়া হলো।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নাম আসে।
পুলিশের পক্ষ থেকে তখন বলা হয়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা জিয়ার পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।
নিহত দীপন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের ছেলে।
ঘটনার পর দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।