স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি (ফাইল ছবি)
ঢাকা (১০ ফেব্রুয়ারি): সরকার শিশুদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে যথেষ্ট আন্তরিক। তবে সব ধরনের ঝুঁকি বিবেচনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরানো হবে। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি আমাদের সামনে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্মুল্যায়ন ও সংস্কারের একটি সুযোগও তৈরী করেছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগ, প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন ও দাতা সংস্থা সবাই একসাথে কাজ করেই শিশুদের নিরাপদে স্কুলে ফেরাতে চায় সরকার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদ, বাংলাদেশে ইউনিসেফের উপ-প্রতিনিধি ভিরা মেন্ডোনকা এবং বাংলাদেশস্থ কানাডার হাইকমিশনের হেড অব ডেভলপমেন্ট এ্যাসিট্যান্স ফেদ্রা মুন মরিস।
শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে স্কুল খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনাকে সফল করার উদ্দেশ্যে ১৫টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন।
সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট এন্ড কোয়ালিটি) রিফাত বিন সাত্তার এই ক্যাম্পেইনের পটভূমি এবং বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোকপাত করেন। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ব্র্যাকের ঊর্ধ্বতন পরিচালক কেএএম মোরশেদ। ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক টনি মাইকেল অনুষ্ঠানটি সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন।
‘নিরাপদে ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইন এর লক্ষ্য হলো সরকারকে সহায়তা করা। যাতে শিশু, পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর জন্য প্রস্তত হতে পারে। এই ক্যাম্পেইনে যোগদানকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো হল, ব্র্যাক, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ, এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হিউম্যানিটি ইনক্লুশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু রিড, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, স্ট্রমি ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন।