করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন দেশের ১ শতাংশ মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ইনফোগ্রাফ: বিজনেসইনসাইডারবিডি
ঢাকা (১৯ ফেব্রুয়ারি): দেশে ১ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কমকর্তা ড. এএসএম আলমগীর। তিনি বলেছেন বিশ্বে এ পর্যন্ত ১৫টি দেশ মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের বেশি মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।
শুক্রবার বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘করোনা সংক্রমণের গতিবিধি ও টিকা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. এএসএম আলমগীর সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেন, ‘মানুষকে টিকা দিতে উৎসাহিত করতে হবে। পজেটিভ বিষয়টি বারবার তুলে ধরতে হবে। এখন মানুষ দলে দলে টিকা নিচ্ছে। টিকা নেওয়ার এই গতিটা ধরে রাখতে হবে, মানুষ যেন টিকা নেয়।’
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার এক মাসের বেশি সময় ধরে ৫ শতাংশের নিচে আছে। এ অবস্থার কথা উল্লেখ করে ডা. আলমগীর বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে সংক্রমণ কমে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই সংক্রমণের হার কমার পরে আবার বেড়েছে। তাই আমাদের ঢিলেমি দিলে চলবে না। টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে টিকা মৃত্যু কমাবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা একটি অন্যতম পন্থা, একমাত্র পন্থা নয়।’
ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফের সঞ্চালনায় এ সংলাপে অন্যদের বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জাতীয় কারিগরি পরামর্শ কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সালান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সাল, একুশে পদকপ্রাপ্ত অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. সমীর কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিএইচআরএফের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বি।
২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারা দেশে গণ টিকাদান কর্মসূচি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মেডিকেলে ইনফরমেশন সার্ভিসেস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ১৮ লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবারই টিকা নিয়েছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৫ জন।