প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আরো ১০ ভাগ এগিয়ে নিতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা (২৩ ফেব্রুয়ারি): দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরো ১০ ভাগ এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিজ সক্ষমতায় আকাশসীমা রক্ষায় সরকার কাজ করছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে আরো ১০ ধাপ এগিয়ে নিতে কাজ করছি।

মঙ্গলবার বিমান বাহিনীর ১১ স্কোয়াড্রন ও ২১ স্কোয়াড্রনকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন। এ সময় বিমান বাহিনী প্রধানসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বিমান বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটা আকাঙ্খা আছে, বাংলাদেশেই যুদ্ধবিমান তৈরি করতে চাই। এক্ষেত্রেও সফল হব বলে বিশ্বাস করি। কাজেই এর ওপর গবেষণা করা ও আকাশসীমা রক্ষা নিজেরাই যেন করতে পারি সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটা গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় বিমান বাহিনী। পাকিস্তানের অসংখ্য লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে তারা। সীমিত শক্তি নিয়েও তারা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, জাতি তা চিরদিন স্মরণ রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন, সবদিক থেকে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে। সেই স্বপ্ন থেকেই সীমিত সম্পদ দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। বিশেষ করে আধুনিক বিমান গড়ে তুলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা নীতিমালা-১৯৭৪ করে দিয়ে যান। সে আলোকে আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে গড়ে তুলছি। দেশের প্রতিরক্ষা খাত আধুনিকায়ন ও কয়েক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছি। আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশ ও বিদেশে সম্মানজনক অবস্থান তৈরি করেছে।

জাতীয় পতাকা পাওয়া বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পতাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা গৌরব ও সম্মানের। এ পতাকার মান রক্ষা করা সবার দায়িত্ব। আমি মনে করি, আপনারা এই মর্যাদা রক্ষা ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকবেন।

দেশের সুবর্ণ জয়ন্তীতে নিজেদের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।