মার্চে ১৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিএনপির দলীয় পতাকা
ঢাকা (২৪ ফেব্রুয়ারি): স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে ৩০ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে 'সূবর্ণ জয়ন্তী' মহাসমাবেশসহ মার্চ মাসে ১৯ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। প্রতিমাস শেষ হওয়ার আগে পরবর্তী মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ঘোষণা করা হলো মার্চ মাসের কর্মসূচি।
মার্চের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: ১ মার্চ সূবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি উদ্বোধন, ২ মার্চ ছাত্র সমাজের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন শীর্ষক আলোচনা সভা, ৩ মার্চ ছাত্র সমাজের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ শীর্ষক আলোচনা সভা, ৭ মার্চ আলোচনাসভা, ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস পালন, ৯ মার্চ সেমিনার, ১০ মার্চ রচনা প্রতিযোগিতা, ১৩ মার্চ বছরব্যাপী রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন, ১৫ মার্চ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ২০ মার্চ আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিষয়ক সেমিনার, ২২ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধ, জেড ফোর্স এবং বীর উত্তম জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনার, ২৩ মার্চ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মেলা, ২৪ মার্চ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে স্বৈরাচারী এরশাদের জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল শীর্ষক সেমিনার, ২৫ মার্চ কালো রাত্রি শীর্ষক আলোচনা সভা, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ, জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, রক্তদান কর্মসূচি, সারাদেশে শোভাযাত্রা, ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে ও বগুড়ায় বাগবাড়ি গমন এবং দুই জায়গায় আলোচনা সভা, ২৮ মার্চ মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ৩০ মার্চ সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সূবর্ণ জয়ন্তী মহাসমাবেশ ও ৩১ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্রাঙ্কন প্রদর্শনীর উদ্বোধন।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মোশাররফ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এসব কর্মসূচি পালনে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে তিনি সরকারের কাছেও সহযোগিতা চান। এসময় তিনি দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির দাবিও জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সদ্য প্রয়াত লেখক, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন খন্দকার মোশাররফ।
জাতীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।