এলডিসি থেকে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ পেল বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
এলডিসি থেকে উত্তরণে চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ
ঢাকা(২৭ ফেব্রুয়ারি): আর্থসামাজিক উন্নয়নের নতুন অভিযাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি বাংলাদেশের জন্য অনন্য এক অর্জন।
জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোন দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদন্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মতো মানদন্ড গুলো অর্জন করেছে।
সিডিপি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকের ভিত্তিতে কোনো দেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে থাকে। কমিটির পাঁচ দিনব্যাপী ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা শুরু হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার বৈঠকের শেষ দিনে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো এবং চূড়ান্তভাবে এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ করে কমিটি।বাংলাদেশের পাশাপাশি নেপাল, ভুটান ও লাওস চূড়ান্তভাবে এলডিসি থেকে বের হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে।
১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত ২০১৮ সালে পূরণ করে। সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে।
উন্নয়নশীল দেশ হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশ ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে ৬৬ পয়েন্টের প্রয়োজন, বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭৫ দশমিক ৩।
অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে কোনো দেশের পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে সেই দেশকে এলডিসিভুক্ত রাখা হয়, ৩২ এ আসার পর উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন হয়। সেখানে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২।