বেনাপোল দিয়ে পালিয়েছেন পি কে হালদার

ঢাকা (০১ মার্চ): প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় দুদকের চিঠি পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে তিনি বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পালিয়ে যান বলে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) ইমিগ্রেশন ইউনিটের পক্ষ থেকে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।

বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পি কে হালদার বেনাপোল দিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে কানাডায় বিলাসী জীবন যাপন করছেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট পি কে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আদালত জানতে চেয়েছিলেন পাসপোর্ট জব্দ থাকার পরও তিনি কিভাবে পালিয়ে যান। একইসঙ্গে পি কে হালদার যেদিন দেশ ত্যাগ করেছিলেন, সেদিন বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরতদের এবং দুদকের দায়িত্বে কে কে ছিলেন সে তালিকাও দাখিল করতে 
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের আইজিপিকে নির্দেশ দেন আদালত। আগামি ১৫ মার্চের মধ্যে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পি কে হালদারের পালানোর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে মৌখিকভাবে তথ্য জানিয়েছে এসবি’র ইমিগ্রেশন ইউনিট।

এদিকে পি কে হালদার এবং তার সহযোগী ও ৩৯ প্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে দুদক। এসব টাকা পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাবে গচ্ছিত ছিল। বিএফআইইউর সহযোগিতায় দুদক এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ফ্রিজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আরও অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে দুদক।