বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণে এবার ব্যবহার হবে ড্রোন
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন
ঢাকা (০৩ মার্চ): সুন্দরবনে বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম জোড়দার করতে এবার ব্যবহার করা হবে ড্রোন। এ লক্ষ্যে প্রধান বন সংরক্ষকের হাতে ড্রোন তুলে দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।
বুধবার বন অধিদপ্তরে ‘মানুষ ও পৃথিবী বাঁচাতে : বন ও জীবিকা’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব ড্রোন বন সংরক্ষকের হাতে তুলে দেন। এ সম্পর্কিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চল হতে গাছ কাটা বন্ধ করা এবং আইন ও বিধিমালা যুগোপযোগীকরণসহ বিভিন্ন কার্যকরী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বন্যপ্রাণী রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন যৌথ উদ্যোগের উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, উভয় সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ, বাঘ ও শিকারী প্রাণী পাচার বন্ধ, দক্ষতা বৃদ্ধি, মনিটরিং ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য একটি প্রটোকল ও একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। বাঘ, হাতি ও কুমিরের আক্রমণে নিহত বা আহত মানুষের ক্ষতিপূরণ হিসেবে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে ১ লক্ষ ও আহত ব্যক্তির পরিবারকে ৫০ হাজার কওে দেয়া হচ্ছে।
বনমন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ২০২০ সালে ২৯৫১ টি বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ৪৬ জন অপরাধীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধের লক্ষ্যে এ সংক্রান্ত অপরাধ দমনে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণকে জাতীয়ভাবে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন” প্রবর্তন করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী বিষয়ক অপরাধ নিরসনের লক্ষ্যে ‘অপরাধ উদঘাটনে তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার প্রদান বিধিমালা, ২০২০’ জারি করা হয়েছে। অতি সম্প্রতি সরকার ‘মহাবিপন্ন’ শকুন রক্ষায় ‘কিটোপ্রোফেন’ জাতীয় ব্যথানাশক ওষুধের উৎপাদন বন্ধ করে ‘ম্যালোক্সিক্যাম’ নামে একটি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদ হাসান, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এবং আইইউসিএন, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রাকিবুল আমীন প্রমুখ।