বাংলাদেশসহ ৪৭ দেশ থেকে চিকিৎসাকর্মী নেবে না ইংল্যান্ড
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ইংল্যান্ডের পতাকা
ঢাকা (১২ মার্চ): বাংলাদেশসহ মোট ৪৭টি দেশ থেকে চিকিৎসাকর্মী নিয়োগের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইংল্যান্ড। বিদেশি চিকিৎসাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন বিধিমালার আলোকে ব্রিটেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন করে ৪৭ দেশের এ তালিকা প্রকাশ করেছে। এর আগে ব্রিটেন ১৫২টি দেশের তালিকা করেছিল।
ব্রিটিশ সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ওয়েবসাইটে নতুন এই নীতিমালার কথা জানিয়েছে। স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ক কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক নিয়োগের জন্য নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি জোরদার করতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন ‘কোড অব পলিসির’ উদ্ধৃতি দিয়ে ব্রিটেন জানিয়েছে, ডব্লিউএইচও’র সুপারিশ অনুযায়ী ব্রিটেনের নিয়োগকারীরা এই দেশগুলো থেকে সরাসরি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে পারবেন না। তবে জি-টু-জি বা সরকার থেকে সরকারে চুক্তি থাকলে দিতে পারবেন।
ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের দেশে আরো বেশি স্বাস্থ্যকর্মী তৈরি করতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে ডব্লিউএইচও’র ‘রেড লিস্ট’ অনুসরণ করতে ৪৭ দেশকে বাদ রাখা হয়েছে।
২০২৪ সাল নাগাদ ব্রিটিশ সরকার ৫০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিতে চায়। এই টার্গেট পূরণে শতাধিক দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে ৪৭টি দেশের জন্য নতুন নীতিমালা করা হয়েছে। তবে অভিবাসী হওয়ার জন্য আগের মতোই দেশগুলোর চিকিৎসকেরা আবেদন করতে পারবেন। ব্রিটেনের সরকার জানিয়েছে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে আগের বছরের তুলনায় ১০ হাজার ৫০০ জনের বেশি নার্স এখন কাজ করছেন।
ব্রিটেন সরকার নতুন যে তালিকা দিয়েছে সেখানে এশিয়া থেকে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের নাম দেখা গেছে। বাকি দেশগুলোর মধ্যে আফ্রিকান অঞ্চলের নাম বেশি।
বিটেনের সমাজসেবা মন্ত্রী হেলেন হোয়াটলি সব দেশের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ব্রিটেনে বিদেশি যেসব চিকিৎসক করোনা মহামারির সময়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নিয়োগের ব্যাপারে সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বনের জন্য আমরা সারা পৃথিবীর সঙ্গে কাজ করব।’
‘নতুন এ নীতিমালার ফলে আমাদের দেশীয় নার্সদের সংখ্যা বাড়বে এবং এর ফলে রোগীদের আমরা বিশ্বমানের সেবা দিতে সক্ষম হব।’
‘সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কারণে দেশীয় চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন নীতিমালা নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের দায়িত্ব বাড়িয়ে দেবে।’
সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী নেওয়া পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে স্বাস্থ্যখাতে ব্রিটেনের নিজস্ব জনবল বাড়বে। সেই সঙ্গে তাদেরকে বিশ্বমানের সেবার উপযোগি করতে তুলতে সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণসহ নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।