নিজস্ব অর্থায়নে রাডার বসবে শাহজালালে
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
ঢাকা (১৬ মার্চ): হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেমসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরকারি অর্থায়নের পরিবর্তে নিজস্ব অর্থে কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সূত্র জানায়, বিমান চলাচল সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইসিএও) এর পরামর্শে বেবিচক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন মূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থা উন্নয়নেরও পরামর্শ রয়েছে আইসিএও’র।
বেবিচক আইসিএও’র পরামর্শ অনুযায়ী কমিউনিকেশন-নেভিগেশন-সার্ভেলেন্স ও এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট (সিএনএস-এটিএম) ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের জন্য প্রথমে পিপিপি পদ্ধতিতে ক্রয়ের জন্য ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ১ মার্চ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বর্ণিত যন্ত্রাদি স্থাপন সংক্রান্ত প্রকল্পটি পিপিপি-এর পরিবর্তে সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থার আধুনিকায়নের কার্যক্রম জি-টু-জি ভিত্তিতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় সংস্থা থালেস এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়। ফ্রান্সের সরকারি এ সংস্থাটির কাছ থেকে রাডার সিস্টেমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য যন্ত্রপাতি জি টু জি প্রক্রিয়ায় সরাসরি কেনার জন্য ২০১৯ সালের ৮ মে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নীতিগত অনুমোদন নেওয়া। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর ফ্রান্সের সাথে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
সূত্র জানায়, জি টু জি প্রক্রিয়ায় কেনা জন্য গঠিত নেগোসিয়েশন কমিটি ফ্রান্সের ওই সংস্থার সঙ্গে নেগোসিয়েশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি বছর ৪ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বর্তমানে প্রস্তাবের ডিপিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়া চলছে। বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি অর্থায়নের পরিবর্তে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়নে উৎসাহিত করছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন জরুরী ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় তা সরকারি অর্থের পরিবর্তে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ অবস্থায়, ২০১৭ সালের ১ মার্চ অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তটি সংশোধন করে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।