বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা (১৭ মার্চ): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন এবং দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তারা এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। খবর বাসস।
রাষ্ট্রপতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি চৌকস দল এ উপলক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ফাতেহা পাঠ করেন এবং মুনাজাতে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট হত্যাযজ্ঞে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়া, দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্যেও দোয়া করা হয়। এর আগে রাষ্ট্রপতি ধামনন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে এসে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছু সময়ের জন্য নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সেখানে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদসহ অন্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এ সময় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
পরে, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে প্রবেশ করেন এবং ১৫ আগস্ট কালো রাতে এ মহান নেতার রক্তাক্ত নিথর ও গুলিবিদ্ধ লাশ সিঁড়ির যেখানে পড়ে ছিল সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
একশ’ বছর আগে ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমানে জেলা) টুঙ্গিপাড়া গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ লুৎফর রহমান ও সায়রা খাতুনের ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
এ দিবসটি জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালিত হচ্ছে। এর আগে সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করে। পরে, এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা বর্ধিত করা হয়।
বাংলাদেশের পাশাপাশি (ইউনাইটেড নেশন্স এডুকেশনাল, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) ইউনেস্কোর উদ্যোগে মুজিব বর্ষ বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে।