শিশুদের আরো উন্নত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ছবি)
ঢাকা (১৭ মার্চ): দেশের ভবিষ্যত শিশুদের জীবন আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, 'আমরা শিশুদের জীবন আরও রঙিন, সুন্দর, সফল এবং ফলপ্রসূ করতে চাই, এটি আমাদের লক্ষ্য।'
বুধবার টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে প্রাঙ্গণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে তিনি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। খবর ইউএনবি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে পা রেখেছি। আমরা এখানেই থামব না, বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে যেতে হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ করা।'
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং সব নীতিমালা প্রণয়ন করছে। তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তারা নীতি অনুসরণ করবে এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন, আমরা সেটাই চাই।'
শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্ষেপে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সরকার অপরাধীদের আরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধন করেছে।
দেশের শিশুদের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূলে করে দিয়েছিলেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে করেছেন।
শিশুদের অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে শিশু আইন কার্যকর করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ২০১১ সালে জাতীয় শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য সরকারও ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং শিশুরা যাতে শিক্ষা, খেলাধুলা, শারীরিক ও সাংস্কৃতিক অনুশীলনের সুযোগ পেতে পারে সে জন্যও বিশেষ নজর দিয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনুশা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইয়েদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এবারের শিশু দিবসের মূল প্রতিপাদ্য 'বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর জীবন করো রঙিন'।