রাজশাহীতে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনে চুক্তি স্বাক্ষর
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিজনেস ইনসাইডার বাংলাদেশ
ঢাকা(২১ মার্চ): রাজশাহী অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূপরিস্থ পানির সরবরাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনে চীনের একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড প্রতিনিধির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃক গৃহীত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার বেশি। এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ৭’শ ৪৮ কোটি এবং হুনান কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড ২ হাজার ৩’শ ১৩ কোটির বেশি টাকা ব্যয় করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে চার বছর।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দৈনিক দুই শত মিলিয়ন লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ২০৩৫ সালের মধ্যে ওই অঞ্চলে পানি সরবরাহ শতভাগ কাভারেজের আওতায় আসবে।
এসময় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রধান অথিতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের সাথে চীনের ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অবদান রাখায় গত এক দশকে এ সম্পর্ক আরো নতুন মাত্রা পেয়েছে। বাংলাদেশ এবং চীন বিশ্ব পরিমন্ডলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখে একত্রে কাজ করবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী ওয়াসা এবং চীনের হুনান কনষ্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে এবং টাইম লাইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকল্পে অনেক সময় সময়সীমা বাড়ানো হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে এমনটা হবে না বলে জানান তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়াটার থেকে সারফেস ওয়াটারের উপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজি ২০৩০ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দেশ লক্ষমাত্রায় পৌঁছাবে বলে জানান তিনি। মানুষের আশা-আকাঙক্ষা পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ কে সামনে রেখে নকশা তৈরি করেছেন এবং সে অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
এছাড়া গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র , রাজশাহী ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চীনের হুনান কনষ্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড প্রতিনিধি এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।