Notice: Undefined index: HTTP_REFERER in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 2

Notice: Undefined index: HTTP_ACCEPT_LANGUAGE in /mnt/volume_sgp1_04/busine23n9s5der/public_html/common/config.php on line 14
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

রোববার

১৬ মার্চ ২০২৫


২ চৈত্র ১৪৩১,

১৬ রমজান ১৪৪৬

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৯ মে ২০২৪  
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল: প্রধানমন্ত্রী

সংগৃহিত

: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি সংলাপের মাধ্যমে সব দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসন, চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ মানবজাতির

কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। খবর: বাসস।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ শান্তি নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় একটি দায়িত্বশীল নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজনস্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে একটি রোল মডেল।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রেআন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস, ২০২৪উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার পররাষ্ট্রনীতিÑ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়।বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অঙ্গীকার আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে

বাংলাদেশ জাতিসংঘেরব্লু হেলমেটপরিবারের সদস্য হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ১৩টি স্থানে ৪৯৩ নারীসহ ছয় হাজার ৯২ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা যেখানে কাজ করছে, সেসব রাষ্ট্র সরকারপ্রধানরা তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রশংসা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজনস্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী পুলিশ বাহিনীর টেকসই পরিশ্রমী নিবেদিতপ্রাণ সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ অমূল্য অবদান।

তিনি ১৬৮ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর অবদানের কথা স্মরণ করেন, যারা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগ করেছেন এবং ২৬৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শান্তিরক্ষায় অবদান রাখতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সমবেদনা জানান তিনি। স্বজন হারানোর বেদনা যে কী, তিনি তা জানেন বলেও সময় উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৬ বছর উদ্যাপন করছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সবাই অত্যন্ত সুনাম গৌরবের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি সময় বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত সব বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীকে শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ অবদান রাখছি।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘেকালচার অব পিস’ (শাস্তির সংস্কৃতি) প্রস্তাব উত্থাপন করে, যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশেরফ্ল্যাগশিপ রেজ্যুলেশনএইকালচার অব পিসসর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরে জাতিসংঘ ২০০০ সালকেইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিসহিসেবে ঘোষণা করে, যার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবের ২৫তম বর্ষ উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আহতদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। তিনি ইউএন পিস কিপার্স জার্নালের (১০ম ভলিউম) মোড়কও š§াচন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কৃতিত্বের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

Walton

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়