সরকারি ক্রয় কমিটিতে যুক্ত হলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য করা হয়েছে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানকে। এর ফলে আগামী অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অংশ নেবেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত দুটি পৃথক গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক। আর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুস সালাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে: উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/পরিদপ্তর, অধস্তন দপ্তর, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত এককভাবে ১০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের পূর্ত কাজ ও ভৌত সেবা এবং পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয় ও চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা। অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, অধিদপ্তর/পরিদপ্তর, অধস্তন দপ্তর, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শিল্পপ্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত এককভাবে পূর্ত কাজের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকার এবং পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবার ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ক্রয় ও চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা।
উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পরামর্শক সার্ভিস (কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস) সংক্রান্ত ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা। অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে পরামর্শক সার্ভিস (কনসালট্যান্সি সার্ভিসেস) সংক্রান্ত ২০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব বিবেচনা। উন্নয়ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে যথাক্রমে পূর্ত কাজ ও ভৌত সেবা এবং পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা ক্রয়/চুক্তি অনুমোদন সংক্রান্ত ১০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ও পরামর্শক সার্ভিসের ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের এবং অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে পূর্ত কাজ ক্রয়/চুক্তি অনুমোদনের ক্ষেত্রে ১০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের, পণ্য/যন্ত্রপাতি/সরঞ্জামাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবাসংক্রান্ত ক্রয়/চুক্তির ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের ও পরামর্শক সার্ভিসের ক্ষেত্রে ২০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের। পুনঃদরপত্র সংক্রান্ত সকল প্রস্তাব বিবেচনা।
এছাড়া সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুসৃত দরপত্র পদ্ধতির পরিবীক্ষণ ও পর্যালোচনা। কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালায় এ কমিটি কর্তৃক বিবেচনার জন্য কোনো বিষয় নির্ধারণ করা থাকলে তা বিবেচনা। কমিটির বৈঠক প্রয়োজনানুসারে অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিবীক্ষণ করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে।
অন্যদিকে অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন। আর কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
এই কমিটির কার্যপরিধিকে বলা হয়েছে: দেশের সার্বিক আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিষয়াদি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন। মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের পূর্বে নিম্নলিখিত বিষয়/নীতিসমূহ বিবেচনা ও সুপারিশ প্রণয়ন। বাণিজ্য নীতি (আমদানি নীতি, রপ্তানি নীতিসহ), শিল্পনীতি, বাজেট ও কর-সংক্রান্ত প্রস্তাবাবলি। ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক অনুসৃত নীতি পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন এবং এ সকল বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন। বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভর্তুকি প্রদান সংক্রান্ত বিষয়াদি। বিধিবদ্ধ সংস্থাসমূহের সম্পাদিত কার্যাবলি, বিশেষত এদের আর্থিক কৃতি ও ফলাফল বিবেচনা।
বাণিজ্য বৃদ্ধি, বৈদেশিক শ্রম বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক শ্রম বাজারের চাহিদা নিরূপণ, রেমিট্যান্স-সংক্রান্ত কার্যাবলি পরিবীক্ষণ, বিদেশে জনশক্তি প্রেরণের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা বিবেচনা ও অনুমোদন এবং এ সকল লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অগ্রগতি পর্যালোচনা। সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদিত দ্রব্যের মূলা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয়ে না থাকলে তা নির্ধারণ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ৫০ (পঞ্চাশ) কোটি টাকার ঊর্ধ্ব মূল্যমানের উৎপাদিত দ্রব্য/শিল্প কারখানার উপজাত বিক্রয়ের প্রস্তাব বিবেচনা ও সুপারিশ। কোনো আইন, বিধি বা নীতিমালায় এ কমিটি কর্তৃক বিবেচনার জন্য কোনো বিষয় নির্ধারণ করা থাকলে তা বিবেচনা।