আমরা সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, দেশে সিজারিয়ান অপারেশনের হার বাড়ছে। বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে সিজারের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাই। সিজারের সংখ্যা যত কমিয়ে নিয়ে আসতে পারব ততই মঙ্গল। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আপনারা যারা গ্রাম পর্যায়ে কাজ করেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আপনারা মানুষদের, গর্ভবতী মায়েদের বোঝান, তারা যাতে ঠিকমতো চেক আপ করেন। নিয়মিত ও সময়মতো যাতে কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী মায়েরা স্বাস্থ্যপরীক্ষা করায়। প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সবার আগে আমি যেটা দেখি সেটা হচ্ছে এএনসি কর্নার। আমি খোঁজ নিয়ে দেখি গর্ভবতী মায়েরা কয়টা করে চেকআপ করছেন, কোথায় ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি হচ্ছে, কোথায় সিজারিয়ান বেশি হচ্ছে। অনেক জায়গায় বলেন আগে সিজার হয়েছে তাই সিজার করতে হবে। সেটা কোনো উত্তর হতে পারে না। আগে কেন হলো সেটার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা যদি একেবারে মূল কারণ খুঁজে বের করে গোড়া থেকে কাজ করি তাহলে সিজারের সংখ্যা অবশ্যই কমিয়ে নিয়ে আসতে পারব।
পরিসংখ্যান বলছে, দুই দশক আগেও প্রসূতিরা সিজারিয়ানে অনাগ্রহী ছিলেন। দিন যত যাচ্ছে, সি-সেকশনের প্রবণতা ততই বাড়ছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের জরিপের তথ্যমতে, ২০০৪ সালে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ছিল মাত্র ৩.৯৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ সন্তানের জন্মদান হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়। গত এক বছরের ব্যবধানে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান, ইউএনএফপিএ বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিভাবেন্দ্র সিং রঘুবংশী, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনম আল ফিরোজ প্রমুখ।