স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে পরেও আমরা স্বাধীন নই: ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি)
ঢাকা (২৬ মার্চ): স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে পরেও আমরা স্বাধীন নই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ঢাকায় অঘোষিত কারফিউ চলছে।
শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফর ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭১ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর কারাগারে বন্দি ছিলেন। আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে তিনি বাংলাদেশের অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের হাতে বন্দি রয়েছেন। আমাদের গণতন্ত্রের রাজনীতির অর্জন হচ্ছে এটা। ৫০ বছর পরেও আমরা স্বাধীন নই।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়েছে। স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এজন্য দেশের মানুষকে এখন আর আমরা স্বাধীন বলতে পারি না। আমাদের স্বাধীনতা বিপন্ন হয়েছে, শৃঙ্খলিত হয়েছে। এজন্য আমরা শৃঙ্খলমুক্ত হওয়ার সংগ্রাম করছি। আমরা শপথ নিয়েছি আমরা দেশকে, দেশের মানুষকে শৃঙ্খলমুক্ত করবই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, দেশের জন্য সংগ্রাম করেছেন তাকে আমরা অবশ্যই মুক্ত করব। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবই।’
সরকার জনগণকে জিম্মি করে জনগণকে বাদ দিয়ে বিদেশি অতিথিদের নিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ব্যস্ত বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। কিন্তু কাউকে প্রভু হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না, দেশের জনগণও তা মানবে না।’
তিনি বলেন, ‘এবারের শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি ছিল একেবারেই ভিন্ন। প্রশাসনের বিধিনিষেধের কারণে দলীয় নেতাকর্মীদের ছাড়াই শুধু শীর্ষ নেতা আসেন সমাধি প্রাঙ্গণে। তারা সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত করেন। এবার বিএনপি নেতাদের সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়নি। তাই স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকা জেলা ও বিভাগের নেতারা দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন’।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।