পদত্যাগপত্র দিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আজ সোমবার দুপুরে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে।
এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ বলেন, ‘লিয়াকত আলী লাকী হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁকে কেউ পদত্যাগে বাধ্য করেছেন, এমন কিছু জানি না।’
এর আগে গতকাল রোববার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে ঢুকতে চাইলে বাধার সম্মুখীন হয়ে ফিরে যান লিয়াকত আলী লাকী। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা শিল্পকলা একাডেমির কয়েকজন কর্মকর্তা অন্য কর্মকর্তাদের দ্বারা হেনস্তা হয়েছেন—এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ ব্যাপারে শিল্পকলার কর্মকর্তারা কেউ নিশ্চিত করেননি প্রথম আলোকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিল্পকলা একাডেমির এক কর্মকর্তা জানান, লিয়াকত আলী লাকীর বিরুদ্ধে অনেক রকম দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত অনেককে তিনি একাডেমি থেকে তাড়িয়েছেন। তাঁর পছন্দের অনুপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছেন। তাঁদের নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিকে অন্যায়, লুটপাট ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বছরব্যাপী অনুষ্ঠানের নামে হরিলুট হতো শিল্পকলায়।
৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর থেকে একে একে খবর আসছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগের। ২০১১ সালে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকবারই লিয়াকত আলী লাকীকে অপসারণের দাবি ওঠে। দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও জানা যায়। ২০২৩ সালে সপ্তমবারের মতো বাড়ানো হয় তাঁর মেয়াদ, যা ছিল নজিরবিহীন।
৮ আগস্ট বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর ক্যাম্প আছে ভেতরে। ওই দিন বিকেলে এখানকার দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ১৯ জুলাই কারফিউ শুরুর পর তাঁরা এই জায়গা পাহারার দায়িত্বে আছেন। এরপর তিনি কয়েকবার মহাপরিচালককে অফিসে আসতে দেখেছেন। তবে গত এক সপ্তাহ (৮ আগস্ট পর্যন্ত) পর্যন্ত আর দেখেননি।