ফারজানা রুপা-শাকিল দম্পতির চার দিনের রিমান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক: || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার একাত্তর টেলিভিশন থেকে চাকরিচ্যুত হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ ও প্রিন্সিপাল করেসপন্ডেন্ট ফারজানা রুপাকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মদ হুমায়ুন কবির এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে ১০ জনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ড আবেদন থেকে জানা গেছে,গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ফজলুল করিম আন্দোলনে যোগ দেয়। আন্দোলনরত অবস্থায় সকাল ৮টায় উত্তরা পূর্ব থানার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে জসিম উদ্দিন মোড়ের ডাচ বাংলা এটিএম বুথের সামনে শটগান, পিস্তল, রিভলবারসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলি চলে। সেখানে ফজুললসহ অনেক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের কঠোর হাতে দমন করার জন্য সরকারকে উসকানি দেন। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কারণ ও পিছনে আর কারা জড়িত ও মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
শুনানি শেষে বিচারক রুপা-শাকিল দম্পতিকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়। তারা বিদেশে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে ডিবিতে হস্তান্তর করে। এরপর রাজধানীর উত্তরায় একটি হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরও আগে গত ৮ আগস্ট একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পক্ষে মুস্তফা আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী ৮ আগস্ট থেকে শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
গত ১৪ জুলাই চীন সফর শেষে গণভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের ফারজানা রুপা। তার প্রশ্নটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালালে ফারজানা রুপাকে চাকরিচ্যুত করে একাত্তর টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।