এস আলমকে টাকা তোলার সুযোগ দিয়ে অবশেষে ব্যাংক হিসাব জব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক || বিজনেস ইনসাইডার
সংগৃহিত
লুকোচুরির করে টাকা তুলে নেওয়ার সুযোগ দিয়ে অবশেষে এস আলম ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এতদিন ধরে এস আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা নিয়ে গড়িমসি করে আসছিলো বিএফআইইউ’র সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে এরই মধ্যে অধিকাংশ টাকা তুলে নিয়েছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। তবে ওই অর্থ কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে, ইসলামী ব্যাংক ও স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩ প্রতিষ্ঠানের নামে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বের করে নিতে চায় এস আলম। সন্দেহজন ওই ঋণ আটকে দিয়েছিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ঋণেরও সুবিধাভোগী এস আলম গ্রুপ।
বিএফআইইউর সাবেক উপ-প্রধান রফিকুল ইসলাম এস আলমের পক্ষে খুব তোড়জোড় চালিয়েছেন। এমনকি তিনি বলেছিলেন, এস আলমের কোনো ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব নেই। আমরা এস আলমের কোনো ব্যক্তিগত হিসাব খুঁজে পাই নি।
তবে এর এক মাসের মাথায় এসে দেখা গেলো, বিএফআইইউ এস আলম ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে।
দেশের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকের ব্যাংক হিসাব আরও আগে জব্দ করেছে বিএএফআইইউ। তবে এস আলমের প্রতি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি বার বার উদাসিনতা দেখিয়েছে।
এর আগে গত ৮ আগস্ট এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিলো বিএফআইইউ। হিসাব তলবের প্রায় দুই মাস পরে এসে এস আলম ও অন্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি।
সম্প্রতি বিএফআইইউ এস আলম ও তার সহযোগীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ সংক্রান্ত চিঠি সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের তালিকায় যারা আছে- সাইফুল আলম (এস আলম), মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান, ওসমান গণী, আব্দুস সামাদ, শাহানা ফেরদাউস এবং বদরুন নেসা আলম।
হিসাব জব্দ করাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে তাদের হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পরবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব স্থগিত করা হয়েছে তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন ও হালনাগাদ বিবরণী ইত্যাদি তথ্য বিএফআইইউয়ের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।